লন্ডনে রাজনৈতিক কর্মশালায় বিশিষ্টজনরা: বিএনপির ক্ষমতায় আসা সময়ের ব্যাপার মাত্র স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মশালায় দর্শক সারিতে তারেক রহমান

প্রকাশিত: ১:০৩ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২২, ২০১৬

লন্ডনে রাজনৈতিক কর্মশালায় বিশিষ্টজনরা: বিএনপির ক্ষমতায় আসা সময়ের ব্যাপার মাত্র স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মশালায় দর্শক সারিতে তারেক রহমান

বিশেষ প্রতিনিধি, লন্ডন: যুক্তরাজ্য স্বেচ্ছাসেবক দল আয়োজিত রাজনৈতিক কর্মশালায় বিশিষ্টজনরা বলেছেন, দেশে দেশে জাতীয়তাবাদের উত্থান হচ্ছে। বাংলাদেশেও অচিরেই জাতীয়তাবাদী শক্তি ক্ষমতায় আসবে। বিএনপির ক্ষমতায় আসা এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র বলে তারা মন্তব্য করেন। স্থানীয় সময় সোমবার বিকেলে পূর্ব লন্ডনের একটি হোটেলে পাঁচ তারকা হোটেলে এ কর্মশালায় যোগ দেন বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তবে তিনি দর্শক সারিতে বসে প্রশিক্ষকদের বক্তৃতা শোনেন। দুই শতাধিক স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী এতে প্রশিক্ষণার্থী হিসেবে যোগ দেন। একই ধরণের টাই, শার্ট, প্যান্ট পরা কর্মীদের সামনে বিষয়ভিত্তিক আলোচনা উপস্থাপন করেন বিশিষ্টজনরা। প্রশিক্ষকদের মধ্যে ছিলেন কার্ডিফ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রফেসর ড. কেএমএ মালিক, ইউকে সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কনসালট্যান্ট এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক প্রফেসর ড. হাসনাত হোসাইন এমবিই, জাস্ট নিউজের সম্পাদক মুশফিকুল ফজল আনসারী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি পারভেজ মল্লিক, ইউনভিার্সিটি কলেজ লন্ডন (ইউসিএল) এর পোস্ট ডক্টরেট ফেলো ড. রুহুল আমিন খন্দকার এবং বাংলাদেশ সেন্টার ফর জার্নালিজম এন্ড ডেমোক্রেসির নির্বাহী পরিচালক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সাবেক সভাপতি এম মাহাবুবুর রহমান। যুক্তরাজ্য স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি নাসির আহমেদ শাহীনের সভাপতিত্বে দুই পর্বের অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসাইন। দ্বিতীয় পর্বে নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার আয়োজন করা হয়। কর্মশালায় অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহিদুর রহমান, হুমায়ুন কবির, প্রবাসী কল্যান বিষয়ক সহসম্পাদক ব্যারিস্টার আবদুস সালাম, সহ-স্বেচ্ছাসেবক সম্পাদক শামসুজ্জামান, নির্বাহী সদস্য আবদুল মুকিত, যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালিক, সাধারণ সম্পাদক কয়সর এম আহমেদ, সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুল হামিদ চৌধুরী, সহসভাপতি আক্তার হোসেন, প্রফেসর ড. কেএমএ মালিক বলেন, জাতীয়তাবাদী দর্শনের কারনেই বিএনপিকে যেমন নানামুখি চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হয়েছে, তেমনি এই আদর্শের কারনেই অচিরেই বিএনপি ক্ষমতায় আসবে। জনগণের আকাক্সক্ষাকে সমন্বয় করতে পারলেই চলমান সংকট কেটে যাবে বলে তিনি মনে করেন। প্রফেসর ড. হাসনাত হোসাইন এমবিই বলেন, জিয়াউর রহমান ও বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অনেক দূর এগিয়েছে। এখন পিছিয়ে পড়ছে। শিক্ষা, সংস্কৃতি ও উন্নয়নের দর্শনের ক্ষেত্রে বিএনপির ভূমিকা অতুলনীয়। আশা করি, তারেক রহমান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হবেন এবং স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়ে তুলতে তিনি জাতীয়তাবাদী আদর্শকে আরো কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন করবেন। জাস্ট নিউজ সম্পাদক মুশফিকুল ফজল আনসারী বলেন, স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমানের লিগেছি বহন করেন তারেক রহমান। তাঁর নেতৃত্বেই বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফিরে আসবে। তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন। বাংলাদেশ রাষ্ট্রকে বিশ্ব স্বীকৃতি এনে দিয়েছেন। পারভেজ মল্লিক বলেন, জিয়াউর রহমানের ‘প্রশিক্ষিত কর্মীরাই রাজনৈতিক দলের প্রাণ’ এই শ্লোগানকে ধারণ করে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল এই কর্মশালা করছে। এ কর্মসূচি অন্যারও অনুসরণ করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। ড. রুহুল আমিন খন্দকার বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ভিত্তি রচনা করেছিলেন জিয়াউর রহমান। জিয়াকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশকে চিন্তা করা যায় না। এজন্যই আওয়ামী লীগ জিয়াউর রহমানকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে চায়। সাংবাদিক এম মাহাবুবুর রহমান বলেন, ইস্যুর উপর ইস্যু চাপা দিয়ে ক্ষমতা দখল করে আছে আওয়ামী লীগ। যুদ্ধাপরাধের ইস্যুতে সুবিধা করতে না পেরে এখন তাদের ব্যবসার পণ্য হলো জঙ্গীবাদ। কিন্তু জঙ্গীবাদের সব ঘটনা প্রমাণ করে, জঙ্গীবাদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের কানেকশন আছে।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

ফেসবুকে সিলেটের দিনকাল