২৭শে মে, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ | ১৩ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৮:৪৭ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ২০, ২০২২
এনামুল কবীর :: শুধু সিলেটই নয়, সারাদেশে এখন খুব দামী প্রশ্ন, কোন দিকে মোড় নিচ্ছে শাবির আন্দোলন? কারা কল-কাটি নাড়ছে। সামাজিক যোযোগ মাধ্যমে সক্রিয় জামায়াত-বিএনপির কর্মীরা! যা ছিল এক হল প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগের আন্দোলন, তা এখন রূপ নিয়েছে উপাচার্যবিরোধী আন্দোলনে। শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের এখন একটাই দাবি, উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমদের পদত্যাগ।
শুরু হয়েছিল গত ১৩ জানুয়ারি রাত ৯টার দিকে, বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের শিক্ষার্থীদের দাবি ছিল তিন দফা। এরপর শনিবারও সেই আন্দোলন চলে। আন্দোলনে সরকার দলীয় ছাত্রসংগঠনের বিরুদ্ধে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠে।
পরদিন রোববারও চলে আন্দোলন সংগ্রাম। তখন আর কেবল একটি ছাত্রী হলের শিক্ষার্থীই নয়, পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জড়িয়ে পড়েন। সেদিন উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করে ফেলেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। এরপর শুরু হয় পুলিশি হস্তক্ষেপ। লাঠিচার্জ টিয়ারসেল ছোঁড়ার পাশাপাশি গুলাগুলির ঘটনাও ঘটেছে। তিনদফার আন্দোলন ছোট হয়ে আসে একদফায়। উপাচার্জ অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিনের পদত্যাগের দাবিতে ফুঁসে উঠে পুরো শাবি। সেদিন রাতেই জরুরী সিন্ডিকেট সভায় বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা এবং পরদিন সোমবার দুপুরের পর থেকে আবাসিক শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশও দেয়া হয়েছে। এতে আন্দোলন আরও তীব্র থেকে তীব্রতর হতে শুরু করে। আন্দোলনকারীরা ভিসির বাসভবন ঘেরাও করে রাখে।
এদিকে মঙ্গলবার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দকে নিয়ে শাবি ক্যাম্পাসে যান। তারা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী, উপাচার্য এবং শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দকে আলোচনার মাধ্যমে দ্রুত সমস্যা সমাধানের পরামর্শ দিয়েছিলেন।
নাদেল জানিয়েছিলেন, তিনি শিক্ষামন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পক্ষ থেকে শাবিতে গিয়েছেন। তিনি দল এবং সরকারের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে একটু সময় চেয়েছিলেন। কিন্তু তা প্রত্যাখ্যান করেন আন্দোলনকারীরা। নাদেল উপাচার্য এবং শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দের সাথেও আলোচনা করেন।
এ পর্যায়ে শিক্ষক সমিতির সভাপতি তুলশি কুমার দাশ আন্দোলনকারীদের কাছে আলোচনার প্রস্তাব নিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু তাও প্রত্যাখ্যান করে শিক্ষার্থীরা।
রাতেই তারা ঘোষণা দেয় বুধবার দুপুর ১২টার মধ্যে উপাচার্য পদত্যাগ না করলে তারা আমরণ অনশনে বসবে। যেই কথা সেই কাজ, শিক্ষার্থীদের মধ্যে ২৪ জন আমরণ অনশন শুরু করেন।
এদিকে শিক্ষার্থীদের অশালীন মন্তব্য ও শ্লোগানের বিরুদ্ধে শাবির কয়েকজন শিক্ষক বুধবার সকালে প্রধান ফটকে প্রতিবাদ জানাতে জড়ো হন।
বুধবার রাত ৯টার পর শাবির ৬জন ডিন, কয়েকজন প্রক্টর, সব বিভাগের বিভাগীয় প্রধান এবং অন্যান্য শিক্ষকরা করজোড়ে করুণ মিনতি নিয়ে হাজির হন আন্দোলনকারীদের সামনে। তারা তাদের অনশন ভেঙে আলোচনার প্রস্তাব দেন। কিন্তু আন্দোলনকারীরা নাছোড়বান্দার মতো ভিসির পদত্যাগের দাবিতে কেবল শ্লোগানই দিয়েছি। শ্লোগানের ভাষা রীতিমতো তুই তুকারিতেও নেমে এসেছে।
বুধবার রাত এবং বৃহস্পতিবার কেমন যাবে- তা নিয়ে এখন শঙ্কিত সচেতন সিলেটবাসী। আন্দোলনকারী এবং তাদের সমর্থকদের দাবি, মেয়েদের সামান্য কয়েকটা দাবি ছিল। সেই দাবিগুলোকে পাশ কাটিয়ে প্রভোস্ট যে ভূল করেছিলেন, সেরকম ভূল একের পর এক করেই যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তাছাড়া আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর লাঠিচার্জ, গুলি ছোঁড়া, টিয়ারশেল ছোঁড়ার কারণে আন্দোলনের গতিপথই পাল্টে যায়। এতে অর্ধশত আহত হয়েছেন এবং তাদের মধ্যে পুলিশ সদস্যরাও ছিলেন। তবে অধিকাংশই ছিলেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থী। তারা এখনো বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। বুধবার সকালে অশালিন প্রতিবাদের ভাষা নিয়ে যেসব শিক্ষক শাবি গেটে ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন, সমালোচনা চলছে তাদেরও। তারা এমন পরিস্থিতিতে মাঠে নেমে সরাসরি আন্দোলনকারীদের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন বলেই মনে করছেন সমালোচকরা। তাদের মতে, তারা যে সরাসরি উপাচার্যের প্রতিনিধিত্ব করছেন না, শিক্ষার্থীরা তা বিশ্বাস করবেন কিভাবে?
এই পক্ষের মতে, এমন কিছু ভূলের কারণে আন্দোলনের লাগাম টেনে ধরার সুযোগ হারিয়ে গেছে। এখন কেবল উপাচার্জের পদত্যাগই সমাধান দিতে পারে।
এদিকে আন্দোলনকারীদের বিপক্ষেও অপর একটি মহলের সমালোচনা চলছে। তাদের মতে, পুলিশ লাঠিচার্জ ছাড়া ভিসিকে মুক্ত করার কোন উপায় তারা রাখেনি। তাছাড়া প্রভোস্ট পদত্যাগ করেছেন, তাদের অন্যান্য দাবিগুলোও মেনে নেয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেলসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করারও যৌক্তিকতাও দেখছেন না তারা। সর্বোপরি হাতজুড় করে শিক্ষকরা যখন তাদের আহ্বান জানালেন অনশন ভেঙে আলোচনায় বসার তখনো তাদের সাড়া মিলেনি। তাদের এমন আচরণ আরও নানা সন্দেহের উদ্রেক করছে সিলেটের সচেতন মহলে। কেউ কেউ ধারণা করছেন, আন্দোলনে প্রতিক্রিয়াশীল চক্রের কোন ইন্ধন আছে কি না। এটিও এখন ভেবে দেখার দাবি জানাচ্ছেন তারা। তাদের মতে, আন্দোলন যে তিনদফা নিয়ে শুরু হয়েছিল তার সবই যখন মেনে নেয়া হলো, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক যখন একাত্মতা ঘোষণা করে তাদের কাছে সময় চাইলেন তখনো যখন তারা সাড়া দিলেন না, তাহলে কি অন্যকোন চক্র সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ভিন্নখাতে প্রবাহিত করে কোন রাজনৈতিক ফায়দা লুটার চেষ্টা করছে? এমন প্রশ্নও এখন উঠে আসছে সচেতন মহল থেকে।
সার্বিক পরিস্থিতি সুশীল সমাজের দ্রত হস্তক্ষেপ চাইছেন সচেতন সিলেটবাসী। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, সিলেটের প্রশাসন, শিক্ষামন্ত্রীসহ গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সম্মিলিত হস্তক্ষেপ এখন জরুরী বলে মনে করছেন তারা। কেউকেউ সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপও চাইছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শাবির এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক এই্ প্রতিবেদকের সাথে আলাপকালে বলেন, যেভাবে হোক পরিস্থিতি আরও অবনতির দিকে যাচ্ছে। এ অবস্থায় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ জরুরী।
এদিকে অনশনকারীদের কথা বিবেচনায় রেখে ক্যাম্পাসে অ্যাম্বুলেন্স রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন গণমাধ্যম কর্মীরা।
শাবির খোলা মাঠে রান্না হলো ১২শ শিক্ষার্থীর খাবার,অর্থ দিচ্ছেন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্ঠা খন্দকার মুক্তাদির
হল ক্যান্টিন বন্ধ, বাধ্য হয়েই তাই খোলা মাঠে রান্না করে খাচ্ছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয় মূল মাঠের মধ্যেই চলছে রান্নার আয়োজন।বিএনিপর একটি সুত্র জানিয়েছে শাবির খোলা মাঠে রান্না হলো ১২শ শিক্ষার্থীর খাবার,অর্থ দিচ্ছেন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্ঠা খন্দকার মুক্তাদির।
বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্ঠা খন্দকার মুক্তাদির সিলেট ছাত্রদলের নেতাদের বলেছেন টাকা কোন সমস্যা না আন্দোলন যাতে বন্ধ না হয় এটা ভাইয়ার নির্দেশ!
বুধবার খাবারে কিছুটা টান পরেছিল বলে জানান খাবার সমন্বয়ের দায়িত্বে থাকা ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মীর রানা ও শিহাব উদ্দিন।
তারা জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার বাইরে খাবারের সকল রেস্টুরেন্ট সন্ধ্যা সাতটার মধ্যেই বন্ধ করে দেওয়া হয়। যে-কারণে প্রচণ্ড খাদ্য কষ্টে ভুগছেন বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থান করা শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণার পর থেকে সবগুলো হলের ডাইনিং বন্ধ রাখা হয়েছে। খাদ্যাভাবে অনেক শিক্ষার্থী বাড়ি চলে গিয়েছেন বলেও জানা গেছে।
গত মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) এক বস্তা চাল দিয়ে খিচুড়ি রান্নার পর খাবারে টান পরে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের। এর ফলে বুধবার তারা দুই বস্তা চাল রান্না করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীদের জন্য।
খিচুড়ির সাথে আলু দিয়ে তৈরি মুরগির ঝোল রান্না করা হয়েছে সার্বজনীনভাবে সবাই যাতে খেতে পারেন সেই জন্য।
বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের তিনটি গ্রুপ রয়েছে। এগুলো হলো- আওয়ামীপন্থি শিক্ষকদের ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ শিক্ষক পরিষদ’, আওয়ামী-বামপন্থি শিক্ষকদের প্যানেল ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্তচিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ’ ও বিএনপি-জামায়াতপন্থি শিক্ষকদের ‘মহান মুক্তিযুদ্ধ, বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ ও ধর্মীয় মূল্যবোধে শ্রদ্ধাশীল শিক্ষক ফোরাম’।
উপাচার্যের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে উৎসাহ দিচ্ছেন বিএনপি-জামায়াতপন্থি শিক্ষকদের ‘মহান মুক্তিযুদ্ধ, বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ ও ধর্মীয় মূল্যবোধে শ্রদ্ধাশীল শিক্ষক ফোরাম’। তিনি অনেক ভালো কাজও করছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি বলেন, ‘করোনার কারণে অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস পরীক্ষা ব্যাহত হচ্ছে। সেশনজট তৈরি হয়েছে। কিন্তু আমাদের এখানে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পরপরই পরীক্ষা শুরু হয়েছে। নতুন সেমিস্টারের ক্লাসও শুরু হয়েছে। সেশনজট অনেকাংশে কমে এসেছে। যারা পরীক্ষা দিতে চান না, তারা উপাচার্যের ওপর ক্ষুব্ধ।’
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান সাংবাদিকদের বলেন, রবি এবং শাবির ঘটনা দুটির উৎস প্রায় একই ধরনের। সেটি হচ্ছে, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দুই জুনিয়র শিক্ষকের আচরণগত সমস্যা। এটা ভাবনার বাইরে যে, একজন শিক্ষক কী করে ছাত্রদের চুল কেটে দিতে পারেন। আবার ছাত্রীরা রাতে কথা বললেই কেন সেটা নিতে পারবেন না একজন প্রভোস্ট? তিনি নিজের অভিজ্ঞতা উল্লেখ করে বলেন, ১৭ ঘণ্টা অবরুদ্ধ থেকেও পুলিশ ব্যবহার করিনি। সন্তানের মতো ছাত্রদের নিয়ন্ত্রণে পুলিশের হস্তক্ষেপ লাগবে কেন? আসলে ছাত্রছাত্রীদের সমস্যা থাকতেই পারে। ক্যাম্পাসে শিক্ষকরা অভিভাবক। তারা সেই দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে সমস্যা সমাধান হয়ে যায়।
তবে তিনি এটাও মনে করেন, যেহেতু উপাচার্য পুলিশকে অ্যাকশনে যেতে বলেননি, তাহলে কে সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহারের আদেশ দিলেন আর কে বিদ্যুতের লাইন বন্ধ করেছে। ক্যাম্পাসে এটা প্রথম প্রয়োগ। এর পেছনে সরকারকে বেকায়দায় ফেলার কোনো উদ্দেশ্য আছে কিনা- তা তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।
সোমবার উপাচার্য বলেছিলেন, ‘এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণার মান অনেক উন্নত হয়েছে। করোনাকালেও আমরা অনেক ভালো করেছি। এখন কিছু বহিরাগতের ইন্ধনে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছে। বহিরাগতরাই এতে নেতৃত্ব দিচ্ছে।’
সম্পাদক ও প্রকাশক : মস্তাক আহমদ পলাশ
সহ-সম্পাদক : জুমা কবীর মীম
নির্বাহী সম্পাদক : নাজমুল কবীর পাভেল
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : উজ্জ্বল চৌধুরী।
মস্তাক আহমদ পলাশ কর্তৃক নিউ বর্ণমালা অফসেট প্রেস, রাজা ম্যানশন, জিন্দাবাজার, সিলেট থেকে মুদ্রিত ও অনামিকা এ/৩৪ পূর্ব শাহী ঈদগাহ, সিলেট থেকে প্রকাশিত।
ইমেইল : sylheterdinkalnews@gmail.com,
ফেইসবুক পেইজ : The Daily Sylheter Dinkal ০১৭২২১৮৮৫৫১, ০১৭৫৫৮৬৬২২২, ০১৭১২৫৪০৪২০, শ্রীহট্ট মিডিয়া লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান।
Design and developed by M-W-D