৩রা জুলাই, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ | ১৯শে আষাঢ়, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৮:৩৭ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১২, ২০১৬
বিএনপির কমিটি গঠনে এবার সুযোগসন্ধানীদের জন্য দলের সিনিয়র নেতাদের সুপারিশও কাজে আসছে না। জানা গেছে, খালেদা জিয়া বিগত আন্দোলন-সংগ্রামে থাকা পরীক্ষিত নেতাদের নিয়েই দলের কমিটি ঘোষণা করছেন। তবে দলের প্রয়োজনে এবং অতীত কর্মকা- বিবেচনায় কিছু নিষ্ক্রিয় নেতাকেও তিনি কমিটিতে রাখছেন। জানা গেছে, শীঘ্রই ঘোষিত হতে পারে স্থায়ী কমিটি ও ভাইস চেয়ারম্যানদের নাম।
সূত্রমতে, দুই দফায় কমিটি ঘোষণার পর এবার পরবর্তী ধাপের কমিটি গঠনের জন্য কাজ করছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন। ইতোমধ্যে কমিটির একটি খসড়া প্রস্তুত করা হয়েছে। পরবর্তী ধাপে দলের স্থায়ী কমিটি এবং ভাইস চেয়ারম্যানের কমিটি ঘোষণা করার সম্ভবনা বেশি। যেহেতু খালেদা জিয়া নিজেই কমিটি করছেন তাই দলের গুরুত্বপূর্ণ এই দুই পদেও আসছেন শুধু পরীক্ষিত ও ত্যাগী নেতারা। স্থায়ী কমিটিতে পদ আছে ১৯টি। এর মধ্যে শূন্য আছে ৪টি। এই চার পদে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ড. ওসমান ফারুক, দলের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন, সাদেক হোসেন খোকা, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদের নামই বেশি শোনা যাচ্ছে। এছাড়া বেগম সেলিমা রহমান, সালাহ উদ্দিন আহমেদ ও ঢাবি শিক্ষক প্রফেসর তাজমেরী এস এ ইসলামের নাম শোনা যাচ্ছে।
সূত্র মতে, বিএনপির ৬ষ্ঠ কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ভাইস চেয়ারম্যান পদের সংখ্যা ১৭টি থেকে বেড়ে ৩৫ হওয়ায় বেশ কিছু নতুন মুখ সংযোজিত হতে যাচ্ছে। ভাইস চেয়ারম্যানের আলোচনায় থাকা নেতাদের মধ্যে রয়েছেন- বর্তমান কমিটিতে ভাইস চেয়ারম্যান পদে দায়িত্ব পালন করা বিচারপতি টিএইচ খান, এম মোর্শেদ খান, শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন, এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ ও আব্দুস সালাম পিন্টু। বর্তমান কমিটিতে বিভিন্ন পদে থাকা নেতাদের মধ্যে নতুন করে এই পদের জন্য আলোচনায় আছেন- অধ্যাপক এম এ মান্নান, এডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, আহমদ আযম খান, শামসুজ্জামান দুদু, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, আমান উল্লাহ আমান, মিজানুর রহমান মিনু, বরকত উল্লাহ বুলু, মোঃ শাহজাহান, জয়নাল আবেদীন ফারুক, গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী, ড. আসাদুজ্জামান রিপন, আ ন ম এহসানুল হক মিলন, গাজী মাজহারুল আনোয়ার ও ঢাকা মহানগর নেতা সালাহ উদ্দিন আহমেদ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এবার ২৫টি উপ-কমিটিসহ প্রায় ৮০০ নেতা হবেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটিতে। এই খবরে বিএনপির মতো বড় দলের নির্বাহী কমিটিতে পদ পেতে দৌড়ঝাঁপ শুরু হয় কাউন্সিলের আগ থেকেই। সিনিয়র নেতাদের অফিস, বাসাবাড়িতে দিনরাত পদ প্রত্যাশীদের আনাগোনা বেড়ে যায়। কিন্তু গত শনিবার ৭ যুগ্ম মহাসচিবসহ ৯ সাংগঠনিক সম্পাদকের পদে নাম ঘোষণার পর নতুন আলোচনা শুরু হয়। প্রায় সব তদবিরই বিফলে গেছে। প্রকৃত ত্যাগী নেতারাই পদ পেয়েছেন।
আন্দালন-সংগ্রামে না থেকেও আস্থাভাজন নেতাদের দিয়ে যারা তদবির করালে প্রত্যাশা অনুযায়ী পদ পাওয়া যাবে ভেবেছেন তারা এখন বেকায়দায়। কোন তদবিরই যে কাজে আসবে না তা নিশ্চিত। এবার সিনিয়র কারো কথাই না শোনে নিরিবিলি পরিবেশে নিজেরমতো করে কমিটি ঠিক করছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন। ফলে পরীক্ষিত নেতাদেরই এবার কমিটিতে ঠাঁই পাবার সম্ভাবনা বেশি।
বিএনপি চেয়ারপার্সনের একটি ঘনিষ্ঠ সূত্র জানায়, সুবিধাবাদী, সুযোগসন্ধানী, মোনাফেক, মুখোশধারী ও নিষ্ক্রিয়দের বদলে এবার তরুণ, দক্ষ ও ত্যাগীদের দিয়ে নির্বাহী কমিটি গঠন করতে একাই কাজ করছেন খালেদা জিয়া। সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানেরও এক্ষেত্রে একই মত। সুযোগসন্ধানী অনেকের নাম যুগ্ম মহাসচিব এবং সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে থাকলেও তারা আসেননি খালেদা জিয়ার অনুমোদন দেয়া নতুন কমিটিতে। সিনিয়র নেতাদের মধ্যে আস্থাভাজন হিসেবে পরিচিত ২/১ জন নেতা তদবির করতে গিয়ে তেমন সুবিধা করতে পারেনি। তাদের চেয়ারপার্সন পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, দক্ষ ও ত্যাগী নেতাদের সম্পর্কে ধারণা রয়েছে তার। কারো সুাপিরশের প্রয়োজন নেই। একজনের সুপারিশ রক্ষা করলে অনেকেরই করতে হবে। এজন্য কাউকে সুপারিশ না করতেও অনুরোধ করেন তিনি।
জানা গেছে, দলকে ঘুরে দাঁড় করতে চেয়ারপার্সনের এই একক চেষ্টাকে অবশ্য অনেক সুবিধাভোগী নেতাকর্মী ভালোভাবে নিচ্ছে না। তাই তারা দলে ভেতরে বাইরে চালাচ্ছেন নানা ধরনের অপ্রপচারও। এর অংশ হিসেবে যুগ্ম মহাসচিব হওয়া এক নেতা এবং সাংগঠনিক সম্পাদকের পদে তিন নেতার নাম নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে। তবে এসব গঠনমূলক সমালোচনায় কোন ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে না বিএনপিতে। কাউন্সিলের অর্পিত ক্ষমতাবলে খালেদা জিয়া নিজে এককভাবে খোঁজ-খবর নিয়ে নেতা মনোনয়ন দিচ্ছেন।
বিএনপি সূত্র জানায়, খালেদা জিয়ার এই সতর্ক পদক্ষেপের পরে এখনও তদবিরসংশ্লিষ্টরা তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন। তবে আগের তুলানায় অনেক কমেছে।
নতুন কমিটি ঘোষণা ও কারা আসতে পারেন জানতে চাইলে স্থায়ী কমিটির সিনিয়র সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, নতুন কমিটি ঘোষণার দায়িত্ব চেয়ারপার্সনের ওপর। উনি কোন দিন ঘোষণা করতে পারবেন এটা বলা সম্ভব নয়। তবে কাজ করছেন। শেষ হলেই কমিটি ঘোষণা দিবেন। আর কাউন্সিলরা যেহেতু তাকেই দায়িত্ব দিয়েছেন তাই তিনি একাই সেই দায়িত্ব পালন করছেন। অন্যদের এ বিষয়ে কিছু জানার কোন সুযোগ নেই।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মস্তাক আহমদ পলাশ
সহ-সম্পাদক : জুমা কবীর মীম
নির্বাহী সম্পাদক : নাজমুল কবীর পাভেল
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : উজ্জ্বল চৌধুরী।
মস্তাক আহমদ পলাশ কর্তৃক নিউ বর্ণমালা অফসেট প্রেস, রাজা ম্যানশন, জিন্দাবাজার, সিলেট থেকে মুদ্রিত ও অনামিকা এ/৩৪ পূর্ব শাহী ঈদগাহ, সিলেট থেকে প্রকাশিত।
ইমেইল : sylheterdinkalnews@gmail.com,
ফেইসবুক পেইজ : The Daily Sylheter Dinkal ০১৭২২১৮৮৫৫১, ০১৭৫৫৮৬৬২২২, ০১৭১২৫৪০৪২০, শ্রীহট্ট মিডিয়া লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান।
Design and developed by M-W-D