২৮শে জুন, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই আষাঢ়, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৮:২৬ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ১২, ২০১৬
প্রকাশিত: ১২ অক্টোবর ২০১৬, বুধবার: পবিত্র আশুরা উপলক্ষে রাজধানীতে বেরিয়েছে শিয়া ধর্মাবলম্বীদের তাজিয়া মিছিল। বুধবার বেলা সোয়া ১০টায় হোসেনী দালান এলাকা থেকে মিছিলটি বের হয়।এ প্রতিবেদন লেখার সময় তাজিয়া মিছিলটি আজিমপুর এলাকা অতিক্রম করছিল।
তাজিয়া মিছিলের অন্যতম সংগঠক ফিরোজ হোসেন বলেন, ঝিগাতলা হয়ে মিছিলটি মোহাম্মদপুর যাবে।এদিকে মিরপুর, মগবাজারসহ রাজধানীর অন্যান্য স্থানেও তাজিয়া মিছিল বেরিয়েছে। আর এ উপলক্ষে রাজধানীতে অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
গত বছরের ২৪ অক্টোবর রাত পৌনে ২টায় এমনই এক তাজিয়া মিছিলের প্রস্তুতি চলার সময় হোসেন়ী দালান চত্বরে বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছিল। ওই ঘটনায় সাজ্জাদ হোসেন নামের এক যুবক মারা যান, আহত হন অন্তত ৭০ জন।
ঢাকার তাজিয়া মিছিলের ৪০০ বছরের ইতিহাসে সেবারই প্রথম সরাসরি শোকের ছায়া নেমে আসে। ফলে এক বছর পর আরেকবার যখন আশুরা উদযাপন করছেন শিয়া ধর্মাবলম্বীরা, তখন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কড়াকড়ির মধ্যে অনেক ধর্মীয় আচারও বাদ দিয়েছেন তারা। এতে তাজিয়া মিছিলের আকর্ষণ কিছুটা কমেছে।
সকাল থেকেই হাজার হাজার শিয়া ধর্মাবলম্বী মিছিলে অংশ নিয়েছেন। ফলে পুরান ঢাকার বিভিন্ন স্থানে যানজটও দেখা গেছে।বকশীবাজার, আজিমপুর, নীলক্ষেত মোড়সহ বিভিন্ন স্থানে অন্য ধর্মাবলম্বীরাও তাজিয়া মিছিল দেখতে রাস্তার দুই পাশে ভিড় করেছেন।মিছিলটি ধানমন্ডির প্রতীকি কারবালাতে গিয়ে শেষ হবে।
মিছিলে অংশ নেওয়া আব্দুল জব্বার বলেন, গত বছর রাতে পল্টনে মিছিল নেওয়ার জন্য মোনাজাত শুরু করেছিলাম আমরা। তখনই কয়েকটি বোমায় এলাকা কেঁপে উঠে। এরপর তো কেবল রক্ত দেখছি। কিন্তু আমরা সেসব ভুলে যেতে চাই। ইয়াজিদরা যেন পরাজিত হয়, সেজন্যই মিছিলে এসেছি।
মিছিলে অংশ নেওয়া আগামসি লেনের বাসিন্দা মামুন হোসেন বলেন, এবারের তাজিয়া মিছিল তার ঐতিহ্য হারিয়েছে। অন্যান্যবার যে উন্মাদনা ছিল তা এবার নেই। কারণ এবার মাতমটাই বাদ দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, তাজিয়া মিছিলের অংশ কালাপাহাড় ও ঢোলা এবার বাদ দেওয়া হয়েছে। আর পুলিশের নিষেধ থাকায় এবার আর লম্বা নিশান নেই। যারা এনেছেন তারা ছোট বাশের পতাকা এনেছেন। তবে মিছিলে লম্বা বাঁশের নিশান দেখা গেছে, যদিও তা অন্যবারের তুলনায় কম।
মামুন হোসেন বলেন, ছুরি, চাকু মারার মাতম এবার নেই। আতশবাজিও নেই। তবু সবার আগে প্রয়োজন নিরাপত্তা। সেটা থাকায় আমরা খুশি। আর এই নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই মিছিলের সামনে ও পিছনে ছাড়াও পুরো রাস্তায় সতর্ক অবস্থানে রয়েছে পুলিশ। মোতায়েন রয়েছে জলকামানও।
মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স.)-এর দৌহিত্র ইমাম হোসেনের (রা.) শহীদ দিবস আরবী মহররম মাসের ১০ তারিখকে ত্যাগ ও শোকের প্রতীক হিসেবে পালন করেন শিয়া মতাবলম্বীরা। সপ্তম শতকে ফোরাত নদীর তীরে কারবালা প্রান্তরে শহীদ হন ইমাম হোসেন। ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হতে মুয়াবিয়াপুত্র ইয়াজিদ ইমাম হোসেনকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিলেন। সেই বিয়োগান্ত ঘটনার স্মরণে প্রতিবছরই ‘হায় হোসেন, হায় হোসেন’ ধ্বনিতে তাজিয়া মিছিল বের করে শিয়ারা।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মস্তাক আহমদ পলাশ
সহ-সম্পাদক : জুমা কবীর মীম
নির্বাহী সম্পাদক : নাজমুল কবীর পাভেল
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : উজ্জ্বল চৌধুরী।
মস্তাক আহমদ পলাশ কর্তৃক নিউ বর্ণমালা অফসেট প্রেস, রাজা ম্যানশন, জিন্দাবাজার, সিলেট থেকে মুদ্রিত ও অনামিকা এ/৩৪ পূর্ব শাহী ঈদগাহ, সিলেট থেকে প্রকাশিত।
ইমেইল : sylheterdinkalnews@gmail.com,
ফেইসবুক পেইজ : The Daily Sylheter Dinkal ০১৭২২১৮৮৫৫১, ০১৭৫৫৮৬৬২২২, ০১৭১২৫৪০৪২০, শ্রীহট্ট মিডিয়া লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান।
Design and developed by M-W-D