শ্রমিকনেতারা গাড়ী চড়ে ঘুরলেও! জনসাধারণের জন্য পরিবহন ধর্মঘট: জনদূর্ভোগ ও গাড়ী ভাংচুর

প্রকাশিত: ১২:৩২ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৬, ২০১৬

শ্রমিকনেতারা গাড়ী চড়ে ঘুরলেও! জনসাধারণের জন্য পরিবহন ধর্মঘট: জনদূর্ভোগ ও গাড়ী ভাংচুর

eeeeeeeeeedsc_0686২৬ অক্টোবর ২০১৬, বুধবার: সিলেটে পরিবহন সম্মেলন চলাকালে সিলেট নগরীর বিভিন্ন স্থানে প্রায় শতাধিক গাড়ী ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে।

বুধবার নগরীর ৬ দফা দাবীতে পরিবহন শ্রমিক কর্মবিরতী চলাকালে নগরীর আম্বরখানা, জিতু মিয়া, মদিনা মার্কেট, উপশহর, মুক্তিযোদ্ধা চত্ত্বর, হুমায়ুন রশিদ চত্ত্বর, চন্ডিপুল চত্ত্বর সহ বিভিন্ন পয়েন্টে গাড়ি ভাংচুর করে শ্রমিকরা।

জানা যায়, সিলেট জেলা সড়ক পরিবহণ শ্রমিক ইউনিয়নের ৬ দফা দাবীতে dsc_0729dsc_0709সমাবেশ চলাকালে সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা সেলিম আহমদ ফলিক নেতৃত্বে তার বাহীনি বাস, কার, লাইটেজ, সিএনজি, অটোরিক্সা সহ প্রায় ১৫টি গাড়ি ভাংচুর করে।

নগরীর হুমায়ূন রশিদ চত্ত্বরের চারপাশে তখন চরম আতঙ্ক-উত্তেজনা বিরাজ করে, জনসাধারণ ছুটাছুটি করতে দেখা যায়। এসময় অ্যাম্বুলেন্স যোগে আগত রোগীদের গাড়ীও ভাংচুর করে ফলিক বাহিনী।
৬ দফা দাবিতে সমাবেশের জন্য সিএনজি অটোরিকশা, লেগুনা, হিউম্যান হুলার শ্রমিক ইউনিয়ন ও বাস-ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের কর্মবিরতিতে স্থবির হয়ে পড়েছে সিলেট ও আশেপাশের এলাকা।
dsc_0698dsc_0704dsc_0769বুধবার (২৬ অক্টোবর) সকাল থেকে থেকেই এই কর্মবিরতি শুরু হয়। সিলেট নগরী ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় পরিবহন কর্ম বিরতিতে জনগণের দুর্ভোগ চরম মাত্রা বৃদ্ধি পায়।

এদিকে পরিবহন শ্রমিকদিনের কর্ম বিরতীর ফলে বিভিন্ন গত্যন্তবের উদ্দেশ্যে বের হয়েও পৌঁছাতে পারেননি শত শত মানুষ এমনকি স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় সহ বিভিন্ন স্থরের শিক্ষার্থীরা চরম দূর্ভোগ পোহান।

নগরী থেকে পাশ্ববর্তী উপজেলায় অফিস যাত্রীরাও কর্মস্থলে যেতে পারেননি। একইভাবে পাশ্ববর্তী উপজেলাগুলো থেকে নগরীমুখী যানবাহন না পেয়ে দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে শত শত মানুষকে।

অথচ সমাবেশের অতিথিরা এবং বিভিন্ন স্থান থেকে শ্রমিকরা গাড়ি যোগে সমাবেশ স্থলে এসে পৌছেন।

dsc_0775কিছু সংখ্যক অতি উৎসাহি শ্রমিক নেতাদের কারণে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষণ হচ্ছে এবং পরিবহন সেক্টরে বিভিন্ন বিশৃঙ্খলা দেখা দিচ্ছে।

সিলেট জেলা অটোরিক্সা সি.এন.জি শ্রমিক ইউনিয়ন রেজি নং ৭০৭ এর সভাপতি জাকারিয়া আহমদের dsc_0706উপস্থিতিতে এ ঘটনা ঘটে। ধারণা করা হয় ফলিক বাহিনীর সাথে জাকারিয়া বাহিনীও একত্রিত হয়ে এ অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটায়।

এদের ব্যাপারে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের গোয়েন্দা সংস্থার তদন্তের জন্য ভোক্তভূগীরা দাবী জানিয়েছেন।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

ফেসবুকে সিলেটের দিনকাল