শ্রমিকের মৃত্যুর পর শাহ আরেফিন টিলায় অভিযান, বোমা মেশিন ধ্বংস

প্রকাশিত: ৪:১১ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৪, ২০১৭

শ্রমিকের মৃত্যুর পর শাহ আরেফিন টিলায় অভিযান, বোমা মেশিন ধ্বংস

নিজস্ব প্রতিবেদক:: পাথর উত্তোলনকালে টিলা ধ্বসে শ্রমিক নিহতের পরও কোম্পানীগঞ্জের শাহ আরেফিন টিলায় চলছে বোমা মেশিন। মঙ্গলবার দুপুরে ওই টিলায় অভিযান চালিয়ে ধ্বংস করা হয়েছে একটি বোমা ও ১১ টি সেলো মেশিন।

এদিকে, শ্রমিক নিহতের ঘটনা তদন্তে দুপুরে শাহ আরেফিন টিলায় গিয়ে পৌঁছেন অতিরিক্ত জেলা হাকিম (এডিএম) আবু সাফায়াৎ মুহম্মদ শাহেদুল ইসলাম। তাঁর সাথে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুম বিল্লাহ ও কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি বায়েছ আলমও ওই টিলায় যান।

শাহ আরেফিনের টিলায় গিয়ে পাথর উত্তোলনকাজে ব্যবহৃত দুটি বোমা মেশিন ও সেলো মেশিন দেখতে পান এডিএমসহ অন্যান্য কর্মকর্তা। এসময় সেগুলো ধ্বংস করেন তাঁরা। এরপর রোববারের শ্রমিক নিহতের ঘটনার ব্যাপারে আশপাশের লোকজন ও শ্রমিক ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সাথে কথা বলছেন এডিএম।

সোমবার সকালে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার শাহ আরেফিন টিলা ধ্বসে পাথর শ্রমিক নিহতের ঘটনা তদন্তে ওই রাতেই অতিরিক্ত জেলা হাকিমকে দায়িত্ব দেন জেলা প্রশাসক। এছাড়া জেলা পুলিশের পক্ষ থেকেও আরেকটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

দায়িত্ব পেয়ে মঙ্গলবার ঘটনাসস্থলে যান এডিএম। তিনি বলেন, এই টিলা থেকে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন করা হচ্ছে। আর পাথর উত্তোলন করতে দেওয়া হবে না। নিয়মিত অভিযান চালানো হবে।

সোমবার ভোরে শাহ আরেফিনের টিলার অর্ন্তগত মটিয়ার টিলা কেটে পাথর উত্তোলনকালে ওই টিলা ধসে পড়ে। এতে হতাহতের ঘটনা ঘটে। নিহতরা সকলেই পাথর শ্রমিক। তবে মৃতের সংখ্যা নিয়ে রয়েছে ধুম্রজাল। স্থানীয় সূত্রে ছয়জন মৃত্যুর খবর পাওয়া গেলেও পুলিশের দু’জনের কথা নিশ্চিত করেছে।

ছয়জনের মারা যাওয়ার কথা শুনেছেন জানিয়ে সিলেট জেলা পুলিশের অতিরিক্ত সুপার (গণমাধ্যম) সুজ্ঞান চাকমা বলেন, তবে আমরা এখন পর্যন্ত দু’জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হতে পেরেছি। তাদের বাড়ি নেত্রকোনা জেলায়।

এই টিলা থেকে পাথর উত্তোলনে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও আঞ্জু মিয়া নামের স্থানীয় এক প্রভাবশালী ব্যক্তি প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে শ্রমিক দিয়ে টিলা কেটে পাথর উত্তোলন করাচ্ছিলেন বলে জানা গেছে।

এব্যাপারে আঞ্জু মিয়ার সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

ফেসবুকে সিলেটের দিনকাল