৩রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ২০শে মাঘ, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৯:৪০ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২১
শাবুল আহমেদ : জয়শ্রী চন্দ ঝুমাÑ একাধারে একজন সঙ্গীত ও বাচিক শিল্পী। শিল্পচর্চার বিভিন্ন মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে তিনি সক্রিয় রয়েছেন। আবৃত্তি সংগটন ‘মুক্তাক্ষর’ নয়াগ্রাম শাখার নির্বাহী পরিচালকের পাশাপাশি তিনি একাধিক সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানে দায়িত্ব পালন করছেন। বাঙালির আন্দোলন-সংগ্রামের বিভিন্ন দিবস ও বিশেষ উৎসবে শিশু-কিশোরদের নিয়ে আবৃত্তি এবং গানের অনুষ্ঠান প্রযোজনা করে ইতোমধ্যে তিনি বেশ সুনাম কুড়িয়েছেন। জয়শ্রী পড়াশোনায়ও যথেষ্ট মেধাবি। বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজ থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে সদ্য স্নাতক (সম্মান) সম্পন্ন করেছেন। লেখাপড়ার পাশাপাশি সঙ্গীত ও আবৃত্তি নিয়ে তার সাফল্যের পালকে যুক্ত হয়েছে অসংখ্য পুরস্কার ও সম্মাননা। বিয়ানীবাজার তথা এতদ্বঞ্চলের শিল্প-সংস্কৃতির প্রিয়মুখ জয়শ্রী মৌলিক ও সৃজনমনস্ক চিন্তার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়ে ইতোমধ্যে আপন স্বকীয়তা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন। তার দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্নমাখা আবৃত্তি সংগঠন মুক্তাক্ষর-নয়াগ্রাম শাখা ছাড়াও সরকারি প্রকল্পের আওতাধীন ‘কিশোর-কিশোরী ক্লাব’ (মুড়িয়া ইউনিয়ন)-এ শিক্ষকতা করছেন। এছাড়া বিয়ানীবাজার উপজেলা শিল্পকলা একাডেমী, অনলাইন ভিত্তিক গণমাধ্যম ‘জনতার টিভি’সহ শিল্প-সংস্কৃতি বিষয়ক নানান সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত থেকে নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছেন। সিলেটের বিয়ানীবাজার পৌরশহরের নয়াগ্রামে জয়শ্রী চন্দ ঝুমার জন্ম ও বেড়ে ওঠা। বাবা মলয় চন্দ ও মা হাসি রাণী চন্দ পরিবারে ৪ মেয়ে ও ২ ছেলে সন্তানের মধ্যে জয়শ্রী দ্বিতীয়। সঙ্গীত এবং আবৃত্তি এ যেন তার জীবনের এপিঠ-ওপিঠ। জয়শ্রীর সঙ্গীত জীবনের প্রথম সোপান ‘বিয়ানীবাজার স্বরলিপি সংগীত বিদ্যালয়’। শৈশবে শিল্পী আব্দুল আলীমের কাছে সঙ্গীতের প্রথম হাতেখড়ি। পর্যায়ক্রমে শিক্ষক দিপালী কর, আলম হোসেন, জুয়েল আহমদ ও বিপ্রদাশ ভট্টাচার্যের কাছে গানের তালিম নিয়েছেন। জয়শ্রী জানান, ক্লাস সেভেনে পড়াকালীন স্থানীয় স্বরলিপি সংগীত বিদ্যালয়ে আবৃত্তি শাখা চালু হয়। সেখানে মুক্তাক্ষর, সিলেটের পরিচালক বিমল কর আবৃত্তির শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। একপর্যায় মনমুগ্ধ হয়ে উনার ক্লাসগুলো নিয়মিত উপভোগ করতে শুরু করেন। মূলত এভাবেই আবৃত্তির প্রতি তার ভালোলাগা ও নেশা তৈরি হয়। সেই শুরু, ধীরে ধীরে আবৃত্তির সঙ্গে গড়ে ওঠে গভীর সখ্যতা। দীর্ঘ এক যুগেরও বেশি সময় প্রশিক্ষক বিমল করের কাছে আবৃত্তির জ্ঞান-সাধনা গ্রহণ করেছেন। এরপর কলকাতার বিশিষ্ট বাচিক শিল্পী শুভাশিষ ঘোষ ঠাকুরের কাছে প্রায় বছরখানেক আবৃত্তির সংলাপ পাঠের কলাকৌশল শিখেন। যদিও নানান প্রতিবন্ধকতার কারণে শিল্পের অনেক কিছুই এখনোও রপ্ত করা হয়ে ওঠেনি। তাই শেখা এবং জানার প্রতি অদম্য কৌতূহল ও প্রবল ইচ্ছে তার। বর্তমানে আবৃত্তিশিল্প নিয়েই তিনি বেশি কাজ করছেন। তবে সঙ্গীত এবং আবৃত্তি উভয় শাখায়ই তার কাছে সমান প্রিয়। তবে আবৃত্তির প্রতি জয়শ্রী’র বিশেষ অনুভূতি ও স্বাচ্ছন্দ্যবোধ ফুটে ওঠে প্রাসঙ্গিক আলাপচারিতায়। তার মতে- আবৃত্তির জন্যই পরিচিতি এবং কাজের ক্ষেত্র বেড়েছে। তবে সংগীতে তিনি বেশি পুরষ্কৃত ও সম্মানিত হয়ে এসেছেন সেই ছোটকাল থেকে। প্রতিযোগিতা মঞ্চে প্রবেশ স্কুলের হাত ধরে। বিভাগীয় পর্যায় বিভিন্ন বিভাগে একাধিকবার তিনি ১ম স্থান অর্জন করেছেন। এরমধ্যে উচ্চাঙ্গ ও নজরুলসংগীত বিভাগে সাফল্য বেশি। এছাড়া বাংলা রচনা প্রতিযোগিতায়ও তিনি বিভাগীয় পর্যায় প্রথম হন। শিল্পচর্চা নিয়ে বহুদূর এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয়ী জয়শ্রী আবৃত্তি চর্চা লালনের পাশাপাশি একজন নজরুলসঙ্গীত শিল্পী হওয়ার স্বপ্ন বুনেন আপন মনে। নজরুলসঙ্গীতে তার প্রিয় শিল্পীর তালিকার শীর্ষে রয়েছেন ফেরদৌস আরা এবং আবৃত্তিতে শিমুল মুস্তফা, মুনমুন মুখার্জি ও ব্রততী বন্দোপাধ্যায়। এসব গুণীশিল্পীদের তিনি সর্বদা অনুসরণ করে থাকেন। শিল্পচর্চায় আজকের এই জয়শ্রী হয়ে ওঠার পেছনে সেজোকাকা মিহির চন্দের অনুপ্রেরণা এবং পরিবারের অকুণ্ঠ সমর্থন ও বন্ধুদের ভালোবাসার কথা কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করে জয়শ্রী বলেন, ‘সবার আগে একজন ভালো মানুষ হতে চাই। এজন্য সবার দোয়া ও আশীর্বাদ কাম্য’।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মস্তাক আহমদ পলাশ
সহ-সম্পাদক : জুমা কবীর মীম
নির্বাহী সম্পাদক : নাজমুল কবীর পাভেল
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : উজ্জ্বল চৌধুরী।
মস্তাক আহমদ পলাশ কর্তৃক নিউ বর্ণমালা অফসেট প্রেস, রাজা ম্যানশন, জিন্দাবাজার, সিলেট থেকে মুদ্রিত ও অনামিকা এ/৩৪ পূর্ব শাহী ঈদগাহ, সিলেট থেকে প্রকাশিত।
ইমেইল : sylheterdinkalnews@gmail.com,
ফেইসবুক পেইজ : The Daily Sylheter Dinkal ০১৭২২১৮৮৫৫১, ০১৭৫৫৮৬৬২২২, ০১৭১২৫৪০৪২০, শ্রীহট্ট মিডিয়া লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান।
Design and developed by M-W-D