সপ্তম শতাব্দীর বাসুদেব মন্দির সংস্কার জরুরি

প্রকাশিত: ৩:৩০ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১, ২০১৬

সপ্তম শতাব্দীর বাসুদেব মন্দির সংস্কার জরুরি

e0af48645a57bf33ca4184dfa126e2dd-8০১ সেপ্টেম্বর ২০১৬, বৃহস্পতিবার: কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার সুপাতলা গ্রামের শ্রীশ্রী বাসুদেব মন্দির। এখানে সাতটি মন্দির রয়েছে। এর মধ্যে চারটি সপ্তম শতকের। এগুলো প্রাচীন স্থাপত্য ও পুরাকীর্তির নিদর্শন। মন্দিরগুলো জরুরি সংস্কার ও পুরাকীর্তি সংরক্ষণের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
কসবা গ্রামের বাসিন্দা ফজলুল হক বলেন, ‘সংস্কার করা না হলে ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির সাক্ষী এ মন্দির কালের গহ্বরে হারিয়ে যাবে। আমরা সরকারের কাছে মন্দিরের পুরাকীর্তিগুলো সংরক্ষণের দাবি জানাচ্ছি।’
মন্দিরের ইতিহাস ঘেঁটে জানা গেছে, খ্রিষ্টীয় সপ্তম শতাব্দীতে শ্রীশ্রী বাসুদেব মন্দির প্রতিষ্ঠা করা হয়। সুপাতলা গ্রামের দুর্গাদলই নামে তৎকালীন জয়ন্তীয়া রাজ্যের একজন রাজকর্মচারীর বাড়িতে একটি পুকুর খননের সময় বাসুদেব মূর্তির সন্ধান মেলে। এ ছাড়া একটি দুর্গামূর্তিও পাওয়া যায়। এরপর ওই রাজকর্মচারী বিজয় পাঠক নামের একজন সাধকের কাছে এই মূর্তির পূজার ভার দেন। তখন থেকেই সুপাতলা গ্রামে ওই মূর্তির পূজা অর্চনা চলে আসছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বাসুদেবের দোল মন্দিরের বিভিন্ন স্থানে ফাটল সৃষ্টি হয়েছে। দেয়ালে বটগাছ, শেওলা ও পরগাছা জন্মেছে। মন্দিরের প্রধান ফটকেও ফাটল রয়েছে। ঝুলন মন্দিরের সামনে প্রার্থনার স্থানেও ফাটল আছে। মন্দিরের দেয়াল থেকে খসে পড়েছে টেরাকোটা। কিছু অংশ ভেঙে গেছে। অথচ অনেক ভক্ত প্রতিদিনই এ মন্দিরে আসেন। মন্দিরের সেবায়েত বনমালী চক্রবর্তী বলেন, মন্দির সংস্কার ও পুরাকীর্তি সংরক্ষণ ব্যয়সাপেক্ষ ব্যাপার। আর্থিক অসংগতির কারণে মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে প্রাচীন স্থাপনাগুলো সংস্কার করা সম্ভব হচ্ছে না। অথচ তিনটি প্রাচীন মন্দিরের ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। জানতে চাইলে ইউএনও মো. আসাদুজ্জামান বলেন, সম্প্রতি মন্ত্রণালয় থেকে উপজেলার প্রাচীন ঐতিহ্য ও স্থাপনার তালিকা তৈরি করার জন্য একটি চিঠি এসেছে। সে অনুযায়ী বাসুদেব মন্দিরকে প্রথমেই রাখা হয়েছে। মন্দিরের স্থাপনা সংরক্ষণে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে।

ফেসবুকে সিলেটের দিনকাল