সাঁড়াশি অভিযানে ৮৫০০জনের মধ্যে ৩৫০০জন বিএনপি নেতাকর্মী গ্রেফতার ! জনদূর্ভোগ

প্রকাশিত: ১১:০১ পূর্বাহ্ণ, জুন ১৩, ২০১৬

সাঁড়াশি অভিযানে ৮৫০০জনের মধ্যে ৩৫০০জন বিএনপি নেতাকর্মী গ্রেফতার ! জনদূর্ভোগ

20_131502বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করে বলেছেন, সরকার জঙ্গিবাদ আড়াল করতে চলমান পুলিশি অভিযানের নামে সাধারণ জনগণের ওপর স্টীম রোলার চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
আজ সোমবার দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আায়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, সরকার আসলে ধারাবাহিক হত্যাকা- বন্ধ করা নয়, চলমান অভিযান গণতন্ত্রকামী রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের ওপর জুলুম করা জন্য গ্রেফতার অভিযান  চালানো হচ্ছে।
বিএনপি’র প্রখ্যাত কোনো নেতা আছে কী-না এমন প্রশ্নে জবাবে রিজভী বলেন, আমাদের কাছে প্রাপ্ত তথ্যগুলো আপনাদেরকে অব্যহিত করেছি। চাপের রাখতে শীর্ষ নেতা শুরু করে ভাইস চেয়ারম্যান, যুগ্ম মহাসচিবদের বাড়ির সামনে সাদা পোশাকের আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যরা দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে উগ্রবাদীদের হত্যাকা- নিয়ে প্রায় সাড়ে আট হাজারের অধিক মানুষকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩৫০০ অধিক বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেফতার করা হচ্ছে অসংখ্য নিরীহ ও সাধারণ মানুষকে। অথচ মূল জঙ্গিদের এখনও চিহ্নিত করতে পারেনি, মাত্র ৮৫ জনকে সন্দেহভাজনকে জঙ্গি হিসেবে আটক করা হয়েছে বলে পুলিশ সদর দফতর থেকে প্রেরিত বার্তায় বলা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, পুলিশের সন্ত্রাস বিরোধী অভিযানের গণ গ্রেফতারের এবং বন্দুক যুদ্ধের নামে বেশ কিছু প্রাণহানির ঘটনা ঈদের আগে দেশের মানুষকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে ভীতি আর আতঙ্কের রাজ্যে।
বিগত আন্দোলনে পেট্রল বোমা নিক্ষেপ করার জন্য আওয়ামী লীগকে দায়ি করে তিনি বলেন, যেখানেই পেট্রল বোমা ও আগুন সেখানেই আওয়ামীরা। তাদের রাজনৈতিক হচ্ছে সন্ত্রাস ও শক্তি প্রয়োগ করা। পাশাপাশি অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রের পথে হাঁটতে আওয়ামী লীগের জুড়ি মেলা ভার।
তিনি বলেন, ‘অবৈধ ক্ষমতায় গরিমায় থানা পুলিশকে কব্জায় নিয়ে গায়ের জোরে যে কারো বিরুদ্ধে যে কোনো মিথ্যা ও সাজানো মামলা দায়ের করা যায়।
তিনি আরো বলেন, ‘এই অনাচারকারী ভোটার বিহীন সরকার সমাজ ও রাষ্ট্রের মানবিক চেহারা হরণ করে নিয়েছে। গণতন্ত্রকে উৎত্থাত করে গোটা সমাজকেই অধঃপতনের শেষ অধ্যায়ে পৌঁছে দিয়েছে তারা। এদের অনাচার, পাপ আর অধিকার হরণের বিভৎসতায় সরকার এখন মৃত্যু যন্ত্রণায় ছটফট করছে। তাই এদের বিরুদ্ধে খুব শিগগিরেই অপরাজেয় মনোবল নিয়ে দেশের মানুষ এক তীব্র প্রতিরোধ গড়া তোলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। কারণ এদের বিদায়ের তৃতীয় ঘণ্টা বেজে গেছে।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মজিবুর রহমান সারোয়ার, অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল. সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিনসহ সাংগঠনিক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, মাহবুবুল হক নান্নুসহ দফতর সম্পাদক আসাদুল করিম শাহীন প্রমুখ।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

ফেসবুকে সিলেটের দিনকাল