৪ঠা জুলাই, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ | ২০শে আষাঢ়, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৮:৩০ পূর্বাহ্ণ, জুন ৮, ২০১৬
রাতের বৃষ্টিতে রাস্তায় থকথকে কাদাপানি। দোকানের সামনের অংশও ময়লা-আবর্জনায় ভরা। একটি দোকানের সামনের সেই আবর্জনা ধুয়ে ঝাড়ু দিয়ে সাফ করছিলেন এক শ্রমিক। আর ঠিক পাশের দোকানটিতেই দুজন কারিগর বিরামহীনভাবে ইফতারসামগ্রী ভেজে চলেছেন। আবর্জনা পরিষ্কারকারী শ্রমিকের ঝাড়ু থেকে ময়লার ছিটা গিয়ে পড়ছিল কারিগরদের বানানো ইফতারসামগ্রীতে।
মঙ্গলবার বেলা তিনটা ৩২ মিনিটের দৃশ্য এটি। স্থান সিলেট নগরের বন্দরবাজার এলাকার মূল সড়ক ঘেঁষে অবস্থিত হাসান মার্কেট। এ মার্কেটের ‘রুচি স্ন্যাকস্ পয়েন্ট’ নামের দোকানটিতে এভাবেই নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বানানো হচ্ছিল খাদ্যসামগ্রী। কারিগরেরা ইফতারসামগ্রী তৈরি করে পাশেই একটি টেবিলে বিক্রির জন্য রাখছিলেন। উন্মুক্ত থাকায় খাবারের ওপর মাছি ভনভন করে উড়ছিল।
এই প্রতিনিধিকে কারিগর ও কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলতে দেখে এগিয়ে এলেন দোকানের মালিক শুভ ঘোষ। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘চুলার পাশে আবর্জনা পরিষ্কারের বিষয়টি লক্ষ করিনি। এটি এখনই সরিয়ে ফেলা হবে। এ ছাড়া গরম গরম ইফতারসামগ্রী থাকায় সেখানে পলিথিনজাতীয় কোনো ঢাকনা রাখা হয়নি। একটু ঠান্ডা হলেই ঢাকনা দেওয়া হবে। তখন আর মাছি বসার সুযোগ পাবে না।’
বেলা তিনটা ৫১ মিনিটে বন্দরবাজার এলাকার মধুফুল নামের একটি দোকানে গিয়েও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে জিলাপি তৈরি করতে দেখা গেছে। প্রায় রাস্তা ঘেঁষে উন্মুক্ত স্থানে জিলাপি ভাজছিলেন আলকাছ আলী নামের এক কারিগর। রাস্তার ধুলাবালু এসে পড়ছে জিলাপি তৈরির পাত্রে।
এই প্রতিনিধির সরেজমিন অভিজ্ঞতা শুনে সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. জয়নাল আবেদীন বলেন, যাঁরা অস্বাস্থ্যকর ও অরুচিকর পরিবেশে ইফতারসামগ্রী বানাচ্ছেন, কোনোভাবেই তাঁদের ছাড় দেওয়া হবে না।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মস্তাক আহমদ পলাশ
সহ-সম্পাদক : জুমা কবীর মীম
নির্বাহী সম্পাদক : নাজমুল কবীর পাভেল
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : উজ্জ্বল চৌধুরী।
মস্তাক আহমদ পলাশ কর্তৃক নিউ বর্ণমালা অফসেট প্রেস, রাজা ম্যানশন, জিন্দাবাজার, সিলেট থেকে মুদ্রিত ও অনামিকা এ/৩৪ পূর্ব শাহী ঈদগাহ, সিলেট থেকে প্রকাশিত।
ইমেইল : sylheterdinkalnews@gmail.com,
ফেইসবুক পেইজ : The Daily Sylheter Dinkal ০১৭২২১৮৮৫৫১, ০১৭৫৫৮৬৬২২২, ০১৭১২৫৪০৪২০, শ্রীহট্ট মিডিয়া লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান।
Design and developed by M-W-D