সিলেটের ছাত্রাবাসে আবাসন পেতে ৪০০ শিক্ষার্থীর আবেদন

প্রকাশিত: ৮:৪৫ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ২৫, ২০১৬

সিলেটের ছাত্রাবাসে আবাসন পেতে ৪০০ শিক্ষার্থীর আবেদন

mc collegসিলেটের ঐতিহ্যবাহী এমসি কলেজের আগুনে পোড়া ছাত্রাবাস সংস্কারের পর ৪০০ শিক্ষার্থী সেখানে থাকতে আবেদন করেছেন। ৪০০ আবেদন থেকে বাছাই করে ২৪৪টি আসনে সিট বরাদ্দ দেওয়া হবে। গতকাল রোববার থেকে বাছাই-প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
সিলেট এমসি কলেজের অধ্যক্ষ নিতাই চন্দ্র চন্দ বলেন, এখন ছাত্রদের আবেদন যাচাই-বাছাই চলছে। মেধার ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের ছাত্রাবাসে আসন বণ্টন করা হবে। কবে নাগাদ বাছাই-প্রক্রিয়া শেষ হবে এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট কোনো তারিখ না জানালেও অধ্যক্ষ বলেন, শিগগির ছাত্রাবাসের আসন বিন্যাস সম্পন্ন হবে।
ছাত্রাবাসের তত্ত্বাবধায়কের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এমসি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সহকারী অধ্যাপক মো. জামাল উদ্দিনকে।
সিলেট নগরের টিলাগড়ে টিলাঘেরা এলাকায় এমসি কলেজের অবস্থান। শিক্ষানুরাগী রাজা গিরিশ চন্দ্র রায়ের পিতামহ মুরারিচাঁদের (এমসি) নামানুসারে ১৮৯২ সালে প্রতিষ্ঠা হয় এমসি কলেজ। ১৯২১ সালে কলেজের পাশে নির্মিত হয় ছাত্রাবাস। ২০১২ সালের ৮ জুলাই রাতে ছাত্রশিবির-ছাত্রলীগের সংঘর্ষের জের ধরে আগুনে পোড়ানো হয় ছাত্রাবাসের তিনটি ব্লকের ৪২টি কক্ষ।
এ ঘটনায় দেশে-বিদেশে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছিল। চার দিন পর ১২ জুলাই শিক্ষামন্ত্রী পরিদর্শন করেছিলেন। তিনি ছাত্র থাকাকালে ১৯৬২ সালে ওই ছাত্রাবাসের প্রথম ব্লকের একটি কক্ষে থাকতেন।
কলেজ সূত্র জানায়, এ দাবির পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর প্রায় ৩০ লাখ টাকার অতিরিক্ত ব্যয়ে পৌনে চার কোটি টাকায় ছাত্রাবাস অবিকল আগের কাঠামোয় পুনর্নির্মাণ করে। ২০১৪ সালের ১৪ অক্টোবর শিক্ষামন্ত্রী ছাত্রাবাস উদ্বোধন করেন। তবে গ্যাস-সংযোগ দিতে দেরি হওয়ায় প্রায় ২০ মাস পর কলেজ কর্তৃপক্ষ সম্প্রতি এটি চালুর সিদ্ধান্ত নেয়। এ নিয়ে গত ১৫ জুন প্রথম আলোয় ‘অবশেষে সেই ছাত্রাবাস চালুর সিদ্ধান্ত’ শিরোনামে একটি সচিত্র প্রতিবেদন ছাপা হয়েছিল।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

ফেসবুকে সিলেটের দিনকাল