সিলেট ১লা মার্চ, ২০২১ খ্রিস্টাব্দ | ১৬ই ফাল্গুন, ১৪২৭ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৭:০৬ অপরাহ্ণ, জুন ২৫, ২০১৬
এখনও খুশি নন সিলেটের ব্যবসায়ীরা। পড়েছেন দ্বিধা-দ্বন্দ্বে। বাজারে ক্রেতা আছে। কিন্তু বিক্রি নেই। গেল বার রমজানের প্রথমার্ধেই বাজারে এক দফা বিকিকিনি শেষ হয়েছিল। কিন্তু এবার পরিস্থিতি ভিন্ন। চলছে বর্ষার মৌসুম। সিলেটে দিনের অর্ধেক সময় থাকে বৃষ্টি। ঈদ করতে সিলেটে এসেছে কম সংখ্যক প্রবাসী। এ কারণে মধ্য রমজান পর্যন্ত বাজারে চাঙ্গা ভাব পরিলক্ষিত হয়নি। তবে, বুধবার থেকে পরিস্থিতি কিছুটা পাল্টেছে। ঈদের অনেক আগেই সিলেটে ক্রয় করা হয় আনরেডি কাপড়। আর এই কাপড়গুলো বিক্রি হয় সাধারণ মধ্য রমজানের আগে। কিন্তু এবার একটু দেরিতে বিক্রি শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে সিলেটের ব্লু ওয়াটার শপিং সিটির ব্যবসায়ীরা। তারা জানিয়েছেন, ক্রেতারা বাজারে আসছেন। কিন্তু এবার একটু দেরিতে ঘর থেকে বের হয়েছে ক্রেতারা। বুধ এবং বৃহস্পতিবার কিছুটা বিকিকিনি হয়েছে। গতকাল শেষ বিকালে মার্কেটগুলোতে বিশেষ করে তরুণ-তরুণীদের ভিড় ছিল বেশি। সিলেটে ব্লু ওয়াটার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আলতাব হোসেন জানিয়েছেন, এবার এখনও ব্যবসায়ীদের মুখে হাসি নেই। বিকিকিনি বাড়বে না কমবে সে বিষয়ে ব্যবসায়ীরা শঙ্কিত। কারণ, গেল বার এমন দিনে বেশ ভালো বিকিকিনি হয়েছিল। সিলেটের শুধু ব্লু ওয়াটারই নয়, শুকরিয়া মার্কেট, আলহামরা শপিং সিটি, সিটি মার্কেট, মধুবন সুপার মার্কেট, হাসান মার্কেটের ব্যবসায়ীদের একই কথা। সিলেটে নীহা ফ্যাশনের স্বত্বাধিকারী আশরাফ চৌধুরী রাজু জানিয়েছেন, গত বার ঈদ মার্কেটে কাপড়ের সংকট পড়েছিল। এ কারণে এবার ব্যবসায়ীরা অত্যাধুনিক ব্রান্ডের কাপড় সংগ্রহ করেছেন। কিন্তু সেই অনুপাতে বিক্রি হচ্ছে না। সিলেটের নয়াসড়ক হয়ে গেছে অভিজাতদের জন্য কেনাকাটার এলাকা। আছে আড়ং, সী, মাহার মতো নামিদামি প্রতিষ্ঠানগুলো। এসব প্রতিষ্ঠানে রমজানের শুরু থেকে কেনাকাটায় ভাটা ছিল। এখন ধীরে ধীরে ক্রেতারা বাড়ছেন। সন্ধ্যা নামলেই নয়াসড়ক এলাকা পরিণত হয় জনসমুদ্রে। ঈদ বাজারে ব্যবসায়ীরা তাদের দোকান সাজিয়েছেন অধিকাংশ ভারতীয় পণ্য দিয়ে। এবারের ঈদ বাজারে ৬০ ভাগ কাপড়ই ভারতীয় বলে জানা গেছে। ভারতের সীমানা ঘেরা সিলেট। এ জেলার কয়েকটি উপজেলা সীমান্তের একদম পাশেই। ফলে সামনে ঈদকে টার্গেট করে কিছু চোরাকারবারী বেশির ভাগ ভারতীয় পণ্য বেশি দামে বিক্রি করার লক্ষে সীমান্তের নানা চোরাই পথে নিয়ে এসে বিক্রি করছে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কাছে। সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে আনা এ সকল পণ্য ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করার সময় ব্যবসায়ীরা দাম হাঁকান লাগাম ছাড়া। কোনো ক্রেতা দাম নিয়ে প্রশ্ন তুললে বিক্রেতারা বলেন এ সকল পণ্য আনা হয়েছে সরকারের রাজস্ব দিয়ে- তাই দাম একটু বেশি। ভারতীয় অভিনেতা-অভিনেত্রী ও সিরিয়ালের নামে শাড়ি ও থ্রিপিসে ভরপুর ছোট বড় মার্কেটগুলো। এবার ঈদে পোশাকের ক্ষেত্রে অন্যতম আকর্ষণ হচ্ছে ভারতীয় সিরিয়ালের নামে নামকরণকৃত পোশাকের মধ্যে রয়েছে, দুর্গা, অরুন্ধতি, বেহুলা প্রভৃতি ভারতীয় পোশাক। সিলেটের ঈদ বাজারে বিদেশি পণ্যের মধ্যে ভারতের পরেই রয়েছে চায়না, থাইল্যান্ড, জাপানি ও ইতালির পণ্য। ঈদকে সামনে রেখে প্রতিদিনই আসছে হরেক রকমের বাহারি নাম ও ডিজাইনের বিদেশি কাপড়। ক্রেতাদের চাহিদার বিষয়টি মাথায় রেখেই ব্যবসায়ীরা দোকান সাজান। তাই এবার ঈদ উপলক্ষে শত কোটি টাকা ভারতীয় পণ্যে বিনিয়োগ করেছেন ব্যবসায়ীরা। ভারতীয় কাপড়ের মধ্যে অধিক পরিমাণে রেডিমেড পোশাক, শাড়ি, কাটাকাপড়, মেয়েদের হরেক নাম ও ডিজাইনের বাহারি পোশাক আনা হয়েছে। এছাড়া রয়েছে কসমেটিক এবং ইমিটেশন অলঙ্কারও। সিলেট সিটি সেন্টারের ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, এবার বাজারে বিদেশি পণ্যের মধ্যে ভারতের পরেই রয়েছে অস্ট্রেলিয়ান, কোরিয়ান, চায়না, ইতালিয়ান পোশাকের আধিক্য। ক্রেতারা অন্যান্য দেশের চেয়ে ভারতীয় পণ্য পছন্দ করেন। এছাড়া বিদেশি সবকিছুই ভালো, দেশি জিনিস খারাপ- এমন একটা মনোভাব রয়েছে আমাদের ক্রেতাদের মধ্যে। নগরীর মহাজনপট্টির নিউ ফেন্সি স্টোরের স্বত্বাধিকারী খায়রুর রহমান এবাদ জানান, সিলেটের পোশাক ব্যবসায়ীরা মূলত ঢাকার আমদানিকারকদের কাছ থেকেই ভারতীয় কাপড় সংগ্রহ করে থাকেন। আর সরকারি রাজস্ব পরিশোধ করে ভারতীয় কাপড় মূলত চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে বাংলাদেশে এসে থাকে। এছাড়া বিমানযোগে ও বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়েও কিছু কাপড় আসে। তবে কিছু চোরাকারবারিরাও এ মৌসুমে সক্রিয় হয়ে উঠে। এদিকে, ঈদ বাজারে বাচ্চাদের যোগ হয়েছে নতুন নতুন পোশাক। মোদি নামের কোট সেট, বাবা সেট, ফ্রগ সেট ডিভাইডার, ফ্লোর টপস কুর্তি অন্যতম। মোদি কোট সেটের দাম ১৫শ’ থেকে ১৭শ’ টাকা। ছেলেদের পোশাকের তালিকায় নতুন কিছু যোগ হয়নি বলে জানান বিক্রেতারা।
নতুন আইটেমের পোলো গেঞ্জি, কিটস, কোট বা সিঙ্গেল শার্ট এসেছে জেন্টস শপগুলোতে।
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি : মোঃ আফছর আহমদ
সম্পাদক ও প্রকাশক : মস্তাক আহমদ পলাশ
নির্বাহী সম্পাদক : নাজমুল কবীর পাভেল, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : উজ্জ্বল চৌধুরী।
মস্তাক আহমদ পলাশ কর্তৃক নিউ বর্ণমালা অফসেট প্রেস, রাজা ম্যানশন, জিন্দাবাজার, সিলেট থেকে মুদ্রিত ও ব্লু-ওয়াটার শপিং সিটি, ৯ম তলা (লিফটের-৮), জিন্দাবাজার, সিলেট থেকে প্রকাশিত।
ইমেইল : sylheterdinkalnews@gmail.com,
ফেইসবুক পেইজ : The Daily Sylheter Dinkal ০১৭১২৫৪০৪২০, ০১৭১১৯৮৪০৬৫, ০১৭১৮৫৩৮০৪৫ , ০১৭১১-৩২৬০৯১, শ্রীহট্ট মিডিয়া লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান।
Design and developed by best-bd