সিলেটে ব্যবধান গড়ে দেবেন বিএনপির ভোটাররা

প্রকাশিত: ১২:৪৬ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৮, ২০১৬

সিলেটে ব্যবধান গড়ে দেবেন বিএনপির ভোটাররা

নিজস্ব প্রতিবেদক:: আজ অনুষ্ঠিত হবে সিলেট জেলা পরিষদ নির্বাচন। এ নির্বাচনে ৪ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এই চার প্রার্থীর মধ্যে থেকে আজ একজনকে বেছে নেবেন সিলেটের ১হা্জার ৪৬৪ টি জন ভোটার।

জেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না বিএনপি। চেয়ারম্যান পদে নেই দলটির কোনো প্রার্থী। তবু এই দলের ভোটাররাই ব্যবধান গড়ে দেবেন চেয়ারম্যান নির্বাচনে। সিলেটে বিএনপি দলীয় জনপ্রতিনিধিই বেশি বলে জানা গেছে। ফলে নির্বাচনে না থেকেও থাকছে বিএনপি।

জানা যায়, সিটি করপোরেশনসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যদের ভোটের সংখ্যা ১ হাজার ৪৬৪টি। সিলেটের বিভিন্ন উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন ও সিটি করপোরেশনে বিএনপি ও জামায়াত সমর্থিত জনপ্রতিনিধির সংখ্যাই বেশী। এসব ভোটের মধ্যে অধিকাংশ ভোটার’ই বিএনপি ও জামায়াত ঘরানার। আর এ সুযোগ এবারের নির্বাচনে কাজে লাগাতে চায় বিএনপি।

ফলে আওয়ামী লীগের প্রার্থীসহ অণ্য তিন প্রার্থীও বিএনপি দলীয় ভোটারদের নিজেদের পক্ষে টানার চেষ্টা করছেন।

সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আহমদ বলেন, জেলা পরিষদ নির্বাচন একটি অবৈধ নির্বাচন। নির্বাচনে সিলেটে মোট ভোটার সংখ্যা ১ হাজার ৪৬৪টি। এরমধ্যে বিএনপি সমর্থিত জোটের রয়েছেন প্রায় ৭শত ভোটার। সেইসব ভোটার দিয়েই নির্বাচনে বিএনপি চমক দেখাতে পারবে। এছাড়াও দলের হয়ে অনেকেই জেলা পরিষদের সদস্য পদে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন বলে খবর পেয়েছি। তাদেরকে দল কোনভাবেই সমর্থন করবে না। কারণ নির্বাচনে অংশ না নেয়ার কেন্দ্রীয় নির্দেশ রয়েছে।

নির্বাচন মানেই প্রতিযোগীতা, চেয়ারম্যান প্রার্থীর সংখ্যা বেশী থাকলে সে নির্বাচন হবে গ্রহণযোগ্য আর প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে জানিয়ে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক এমপি শফিকুর রহমান চৌধুরী জানান, সিলেটে আওয়ামী লীগের রয়েছে বিশাল ভোট ব্যাংক। তবে আওয়ামী লীগের কতজন ভোটার রয়েছে জানতে চাইলে, তা জানাতে পারেননি তিনি। তবে তিনি আরও জানান, জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পক্ষে গণজোয়ারের সৃষ্টি হয়েছে।

বিএনপির দলীয় সূত্রে জানা যায়, সিটি করপোরেশনের অধিকাংশ কাউন্সিলর বিএনপি ও জামায়াতপন্থি। এছাড়াও গোয়াইনঘাট উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল হাকিম, জকিগঞ্জ উপজেলার চেয়ারম্যান ইকবাল আহমদ তাপাদার, বালাগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান আবদাল মিয়া, বিশ্বনাথ উপজেলা চেয়ারম্যান সোহেল আহমদ চৌধুরী বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সরাসরি জড়িত। গোলাপগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান নাজমুল হোসেন ও জৈন্তাপুর উপজেলা চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। গোলাপগঞ্জ উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের মধ্যে ৫টি বিএনপি, ১টি জামায়াত ও ৪টিতে আওয়ামী লীগের জনপ্রতিনিধি রয়েছেন। এ ছাড়া জৈন্তাপুর উপজেলার ৬ ইউনিয়নের মধ্যে তিনটি বিএনপি ও তিনটিতে আওয়ামী লীগের জনপ্রতিনিধি রয়েছেন। একইভাবে গোয়াইনঘাট উপজেলার ৯ ইউপির মধ্যে ৪টি বিএনপি ও ৫টি আওয়ামী লীগের। এভাবে সিলেট জেলার ১৩ উপজেলার সবক’টিতেই রয়েছে বিএনপি ও জামায়াতের ভোট।

আওয়ামী লীগের দলীয় সূত্রে জানা যায়, জেলা পরিষদের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে অ্যাডভোকেট লুৎফুর রহমানকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। এছাড়া প্রার্থী হয়েছেন সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা জিয়াউদ্দিন লালা, যুক্তরাজ্য প্রবাসী জাপা নেতা ফখরুল ইসলাম ও ইমরান আহমদ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ ড. এনামুল হক সরদার।

তবে লুৎফুর ও এনামুল হকের মধ্যে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বলে জানা গেছে। এই দুজনের মধ্যে যে বিএনপির ভোট নিজেদের পক্ষে টানতে পারবেন তিনিই হাসবেন বিজয়ের হাসি।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

ফেসবুকে সিলেটের দিনকাল