সিলেটে ৫ লাখ শিশুকে খাওয়ানো হবে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল

প্রকাশিত: ৪:২৩ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৪, ২০১৬

সিলেটে ৫ লাখ শিশুকে খাওয়ানো হবে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল

file (1)সিলেটে প্রায় ৫ লক্ষ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের প্রথম রাউন্ড উপলক্ষে শনিবার (১৬ জুলাই) শিশুদেরকে ভিটামিন-এ খাওয়ানো হবে।
এদিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত সারা দেশের ন্যায় সিলেটের ১২ উপজেলা ও নগরীতে এই কার্যক্রম চলবে বলে পৃথক মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের জানিয়েছেন সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) সচিব বদরুল হক ও সিলেটের সিভিল সার্জন ডা. হাবিবুর রহমান।
বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) সকালে সিসিক সম্মেলন কক্ষে সিলেটে কর্মরত গণমাধ্যমের সংবাদকর্মীদের নিয়ে মতবিনিময় সভায় সিসিকের সচিব বদরুল হক বলেন, এই দিন নগরীর ২১০ টি স্থায়ী-অস্থায়ী এবং ভ্রাম্যমান কেন্দ্রে মোট ৬৫হাজার ৯৯জন শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
সিলেট নগরীতে এবার ৬-১১ মাস বয়সী শিশুদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৬হাজার ৪শ’ ২২জন, ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুদের লক্ষ্যমাত্রা ৫৮হাজার ২’ ৭৫জন, ০৬মাস-১১ মাস বয়সী প্রতিবন্ধি শিশুদের লক্ষ্যমাত্রা ৪০ এবং ১২ মাস থেকে ৫৯ মাস বয়সী প্রতিবন্ধি শিশুদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩শ ৬২ জন।
মোট কেন্দ্রের মধ্যে নিয়মিত টিকাদান কেন্দ্র রয়েছে ৩০টি, অনিয়মিত ৯৭টি, অতিরিক্ত কেন্দ্র ৬১ ও ভ্রাম্যমান কেন্দ্রের সংখ্যা ২২। এই দিন নগর এলাকায় ৬৩০জন স্বেচ্ছাসেবী টিকাদান কর্মসূচীতে সহযোগীতা করবেন।
অন্যদিকে, দুপুরে সিলেট সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় সিলেটের সিভিল সার্জন ডা. হাবিবুর রহমান বলেন, জেলার ১২ উপজেলার ৪লাখ ৪১হাজার ৮৭৮ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষমাত্র নির্ধারণ করা হয়েছে।
এদের মধ্যে ৬-১১ মাস বয়সী শিশুদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪৫জার ৭২২জন এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুদের লক্ষ্যমাত্রা ৩ লাখ ৯৬হাজার ১০৬জন ধরা হয়েছে বলে জানান তিনি।
জেলার বার উপজেলার স্থায়ী-অস্থায়ী ২হাজার ৫৬৩টি কেন্দ্রে ৬হাজার ৮৬০জন স্বেচ্ছাসেবি টিকাদান কর্মসূচিতে কাজ করবেন।
এদিন প্রত্যেক কেন্দ্রে ৬-১১ মাস বয়সী প্রত্যেক শিশুকে ১টি করে নীল রঙের ভিটামিন এ ক্যাপসুল ও ১২-৫৯ মাস বয়সী শিশুকে ১টি করে লাল রঙের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
যদি কোন শিশু গত ৪মাসের মধ্যে ভিটামিন ‘এ‘ ক্যাপসুল খেয়ে থাকে তাহলে সেই শিশুকে আর ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে না।
এছাড়া কান্নারত অবস্থায় বা জোর করে শিশুকে ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে না। কোন শিশুকে আস্ত বা গোটা ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে না। ক্যাপসুলের মুখ কাঁচি দিয়ে কেটে ভিতরের তরল টুকু খাওয়াতে হবে।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

ফেসবুকে সিলেটের দিনকাল