সিলেট বাস টার্মিনাল: খানাখন্দ-জলকাদায় একাকার

প্রকাশিত: ১১:২৫ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ২০, ২০১৬

সিলেট বাস টার্মিনাল: খানাখন্দ-জলকাদায় একাকার

rasta tarmenalইট-সুরকি উঠে গিয়ে তৈরি হয়েছে বড় বড় গর্তের। সেই গর্তে বৃষ্টির পানি জমে তৈরি হয়েছে ছোট ছোট পুকুরের। জলকাদার পাশাপাশি যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা। মানুষের মূত্রত্যাগ যেখানে-সেখানে। চারপাশজুড়েই হতশ্রী পরিবেশ।
সিলেটের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের এই নোংরা পরিবেশে অতিষ্ঠ মানুষ। যাত্রার শুরুতেই চরম ভোগান্তি। এতে ক্ষুব্ধ-নাজেহাল যাত্রীরা।
গত রোববার সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, এই টার্মিনাল থেকে ঢাকা, ভৈরব, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, চট্টগ্রাম, বগুড়া, রংপুর, বরিশাল, পটুয়াখালী, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁওসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যান চলাচল করে। যাত্রীদের টিকিট কাটতে গিয়ে বিড়ম্বনার শেষ নেই। তাঁরা জলকাদা মাড়িয়ে টিকিট কিনছেন। খালেক উদ্দিন নামের একজন পরিবহনশ্রমিক জানালেন, দেড় বছর ধরে টার্মিনালটি ভাঙাচোরা অবস্থায় রয়েছে।
ঢাকাগামী যাত্রী মাহিদুল ইসলাম কাদা মাড়িয়ে বাসের টিকিট কিনেছেন। এতে করে তাঁর জুতা-প্যান্ট নোংরা হয়ে গেছে। ক্ষুব্ধ কণ্ঠে তিনি বললেন, অনেক দিন ধরে টার্মিনালটি ভাঙাচোরা অবস্থায় থাকলেও সংস্কারের উদ্যোগ নেই।
ভৈরবগামী এক নারী যাত্রী জানান, এই টার্মিনালে মাত্র দুটি শৌচাগার রয়েছে। কিন্তু সেগুলোও নারীদের জন্য ব্যবহারের অনুপযোগী।
বেশ কয়েকজন যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, টার্মিনালটির বেহাল অবস্থার কারণে যাত্রীরা প্রতিনিয়ত দুর্ভোগ পোহান। এখান থেকে প্রতিদিন গড়ে কয়েক হাজার যাত্রী দেশের নানা জায়গায় যাতায়াত করেন। কয়েক দিনের বৃষ্টিতে টার্মিনালটি জলকাদায় একাকার হয়ে ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
দক্ষিণ সুরমার কদমতলী এলাকায় সাত একর জায়গার ওপর স্থাপিত কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালটি গত বছর ৬৫ লাখ টাকায় মহসিন কামরান নামের এক ব্যক্তির কাছে ইজারা দেওয়া হয়েছিল। এ বছর মামলাসংক্রান্ত জটিলতার কারণে এটি আর ইজারা দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন সিটি করপোরেশনের এক কর্মকর্তা। প্রায় ছয় মাস আগে টার্মিনালটি সংস্কার করা হয়।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

ফেসবুকে সিলেটের দিনকাল