সিসিকের বৈধ পশুর হাটের আগেই অবৈধ হাটের ছড়াছড়ি! সংঘাতের আশংকা

প্রকাশিত: ৪:১৭ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২৯, ২০১৬

সিসিকের বৈধ পশুর হাটের আগেই অবৈধ হাটের ছড়াছড়ি! সংঘাতের আশংকা

gorur htসম্প্রতি সিলেট সিটি কর্পোরেশন  কর্তৃক মাছিমপুর এম এ মুহিত ক্রীড়া কমপ্লেক্স সংলগ্ন স্থানে অস্থায়ী পশুর হাট বসানোর টেন্ডার আহবান করা হয়। ট্রেন্ডারে সুনির্দিষ্টভাবে পশুর হাট স্থাপনের স্থান নির্ণয় করে দেওয়া হয়নি।
পত্রিকায় প্রকাশিত টেন্ডার বিজ্ঞপ্তিতে স্থান সম্পর্কে উল্লেখ করা হয়েছে ‘মাছিমপুর কয়েদী হাওড় সংলগ্ন’। এই কথায় বুঝা যাচ্ছে যে মাছিমপুর ক্রীড়া কমপ্লেক্সের আশেপাশের যে কোন খোলা স্থানই হতে পারে পশুর হাটের জন্য নির্ধারিত।
এরকম ধোয়াচ্ছন্ন টেন্ডার আহ্বান করায় এই টেন্ডার বাস্তবায়ন নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। সে সুযোগে ক্ষমতার লড়াই শুরু হয়েছে।
টেন্ডার বাস্তবায়নের আগেই একাধিক অবৈধ বাজার স্থাপনের প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। ক্ষমতাসীন দলের নাম ভাঙ্গিয়ে ইতিমধ্যে বাজার দখলে মরিয়া হয়ে উঠেছেন কতিপয় ব্যক্তি। যে কারণে সিসিকর পশুর হাট স্থাপনের প্রক্রিয়া হুমকির মুখে পড়েছে। যে কোন মুহুর্তে বাজারকে কেন্দ্র করে বড় ধরনের সংঘাতের আশংকা করা হচ্ছে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায় মাছিমপুর মাঠ সংলগ্ন ক্রীড়া কমপ্লেক্স, গার্ডেন টাওয়ার, সার্ভার স্টেশন, জেলা পরিষদের জায়গা প্রভৃতি স্থানে গড়ে উঠছে অবৈধ পশুর হাট।
রোববার উপরোক্ত এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে রীতিমতো বাজারকে নিয়ে দলাদলি শুরু হয়েছে। মাছিমপুর ক্রীড়া কমপ্লেক্স এলাকার পাশাপাশি দুইটি ওয়ার্ড ১৪ এবং ২৩নং ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ, অঙ্গসংগঠন ও যুব সমাজের কিছু কর্মী সংগঠিত হয়ে পশুর হাট স্থাপনের উদ্যোগ নেন। তাদের দাবি তারা উক্ত এলাকার বাসিন্দা হিসেবে এখানে পশুর হাট স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছেন। কিন্তু তাদের নির্ধারিত জায়গায় নগরীর বিভিন্ন স্থান থেকে লোকজন এসে জবর দখল করে বাজার স্থাপনের তৎপরতা চালাচ্ছে।
গার্ডেন টাওয়ার সংলগ্ন এলাকায় গিয়ে উপস্থিত কয়েকজন লোকের সাথে আলাপকালে তারা সাংবাদিকদের বলেন ২৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোস্তাক আহমদের ছত্রচ্ছায়ায় সিসিকর আহ্বানকৃত এলাকায় পশুর হাট বসানোর কাজ চলছে। তার সাথে যোগ দিয়েছেন সিলেট জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের একজন নেতা। আড়ালে আবডালে রয়েছেন সরকার দলীয় পরিচয় দানকারী অনেক ব্যক্তি। তারা যৌথভাবে বৈধ পশুর হাটের পাশেই অবৈধভাবে পশুর হাট বসানোর তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন। যেখানে সিসিক কর্তৃপক্ষ পশুর হাটের টেন্ডার আহ্বান করেছেন এবং টেন্ডারে পশুর হাটের জন্য যে সব স্থান উল্লেখ করেছেন সেখানে সিসিকর একজন কাউন্সিলর কিভাবে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে পশুর হাট স্থাপন করছেন।
এ বিষয়টি নিয়ে জনমনে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কাউন্সিলর নিজের সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করে বলেন অবৈধভাবে যদি কেউ পশুর হাট স্থাপন করেন তবে আইনানুগ ভাবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। তিনি কোন অবৈধ বাজারের সাথে সম্পৃক্ত নয়।
এদিকে স্থানীয় লোকজন জানান কাউন্সিলরের প্রতক্ষ মদদেই সিসিকর ট্রেন্ডার বাস্তবায়নের আগেই তড়িগড়ি করে গড়ে উঠছে অবৈধ পশুর হাট।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

ফেসবুকে সিলেটের দিনকাল