সুনামগঞ্জে নতুন করে আরও ৩১ জনের শরীরে করোনা পজিটিভ এসেছে। এনিয়ে জেলায় মোট করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৪৬৩ জনে। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১০০ জন। এবং মৃত্যুবরণ করেছেন এ পর্যন্ত ০৪ জন।
নতুন আক্রান্তদের মধ্যে জামালগঞ্জ উপজেলায় ১৬ জন, ছাতক উপজেলায় ১৩ জন, জগন্নাথপুর উপজেলায় ১ জন এবং দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার ১ জন। শনিবার এই তথ্য জানিয়েছেন সিভিল সার্জন ডা. শামস উদ্দিন। তিনি জানান, সম্প্রতি ঢাকার ল্যাবে ২৮২ জনের নমুনা পাঠানো হয়েছিল। সেখানে থেকে ৩১ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
হাওরের জেলা সুনাগঞ্জে লাফিয়ে বাড়ছে করোনার প্রাদুর্ভাব প্রতিদিনেই যুক্ত হচ্ছেন নতুন রুগী। আক্রান্তের দিক দিয়ে এগিয়ে আছে ছাতক উপজেলা আক্রান্তের সংখ্যা মোট ১৪০ জনে এবং সংক্রমণ বিবেচনায় সবচেয়ে কম আক্রান্তের হয়েছে শাল্লা সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা মাত্র ১১ জন। সপ্তাহের ব্যবধানে আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ হল। লকডাউন তুলে নেওয়ার পর থেকেই চক্রবৃদ্ধিহারে বাড়ছে করোনার পজিটিভ রুগীদের সংখ্যা। হাওরের জেলা হওয়ায় সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে এই এলাকার মানুষ। জেলা শহর হওয়ায় এবং সরকারি আদেশ শিথিল করায় এক উপজেলা থেকে অন্য উপজেলায় মানুষের যাতায়াত আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি লক্ষ্য করা যায়। শহরের ভেতরে সিএনজি-অটোরিকশা ভর্তি যাত্রী নিয়ে দিব্যি চলছে যানবাহন। ব্যাংক গুলোতে নেই পর্যাপ্ত সুরক্ষার ব্যবস্থা। সুরক্ষা সামগ্রী বলতে ফেস মাস্ক পরেই নিজেকে সর্বোচ্চ নিরাপদ ভেবে মানুষের ভিড়ে দিব্যি চলছেন অনেকেই। বাজার গুলোতে লোকসমাগম বেড়েছে অনেকেই আসছে লকডাউন এর ভয়ে শপিং করছেন নিয়মিত, তাতে বেশিই ঝুঁকিতে রয়েছেন এই অঞ্চলের মানুষ। প্রশাসনের পক্ষ থেকে হাট-বাজারে নিয়ম মানার তদারকি করা হলেও তা অপ্রতুল। গত ১২ ই এপ্রিল জেলার দোয়ারা বাজারে প্রথম এক মহিলার শরীরে করোনা শনাক্ত হয়, এরপর থেকেই ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা । এখন প্রতিদিনই প্রায় অর্ধশতাধিক লোক আক্রান্ত হচ্ছেন সুনামগঞ্জে। শনিবার ১৩ই জুন সর্বশেষ তথ্য মতে জেলায় মোট কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা ৪৬৩ জন। তবে এই জেলায় আক্রান্তদের মধ্যে বেশিরভাগ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা রয়েছেন। শনিবার সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসনএর নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয় গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১৪ জন মোট কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা ৪৬৩ জন। হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন মোট ৫৬৪৫ জন। প্রাতিষ্ঠানিক হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন মোট ৩৩ জন। নতুন করে আইসোলেশনে নেওয়া হয়েছে ১৪ জন মোট ৪৩২জন,এবং আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন মোট ৫৩৪৩ জন। গত ২৪ ঘন্টায় আরোগ্য লাভ করেছেন ০১ জন মোট সংখ্যা এ পর্যন্ত ১০০ জন।
এই জেলায় কোভিড-১৯ চিকিৎসায় সবকটি সরকারি হাসপাতালে নমুনা সংগ্রহ সহ চিকিৎসার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। কোভিড-১৯ আক্রান্ত রুগীদের সেবা দেওয়ার জন্য ১৩১ টি শয্যা প্রস্তুত রাখা হয়েছে এবং এতে ৮৬ জন চিকিৎসক ও ২৪৭ জন নার্স নিয়মিত চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।