৪ঠা ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ১৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৯:৫৮ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ৬, ২০১৬
৬ অক্টোবর ২০১৬. বৃহস্পতিবার: ২৫ সদস্যের নারী ও পুরুষ পুলিশের একটি দল। সঙ্গে নির্মাণশ্রমিকের আরেকটি দল। দুটি দল নিয়ে সিলেট জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নুরুল হুদা গতকাল বুধবার সিলেট নগরের কাজীরবাজার মৎস্য আড়তদার সমিতির বিলাসী সেই শৌচাগারটি ভেঙে দিয়েছেন।
গতকাল বেলা ১১টা থেকে প্রায় আধা ঘণ্টা অপেক্ষা করেও শৌচাগারটির মালিকপক্ষের কাউকে পাওয়া যায়নি। পরে সেটি ভাঙা শুরু হয়। গতকাল বিকেল সাড়ে চারটা পর্যন্ত শৌচাগারের ওপরের অংশ ভাঙা হয়। আগামী এক সপ্তাহ পর্যায়ক্রমে অভিযান চালিয়ে অবৈধ শৌচাগারটি পুরোপুরি ভাঙা হবে বলে অভিযান চলাকালে জানানো হয়।
কাজীরবাজার মৎস্য আড়তদার সমিতি প্রায় ২৫ লাখ টাকা ব্যয়ে দোতলাবিশিষ্ট শৌচাগারটি নির্মাণ করে। নিচতলায় আটটি শৌচাগার, দ্বিতীয় তলায় সমিতির কার্যালয়ে নানা রকম স্থাপত্যের সঙ্গে ছাদে দুটি দর্শনীয় ছাতাও নির্মাণ করা হয়েছে। এ নিয়ে গত ২১ জুন প্রথম আলোয় ‘সুরমাতীরে বিলাসী শৌচাগার, বর্জ্য মিশছে নদীতে’ শিরোনামে সচিত্র একটি প্রতিবেদন ছাপা হয়।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, ২২ জুন সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এনামুল হাবীব সরেজমিন পরিদর্শনের পর প্রকৌশলীর দপ্তর শৌচাগার উচ্ছেদে আড়তদার সমিতিকে নোটিশ পাঠান। এর অনুলিপি জেলা প্রশাসনের জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের কমিটিকে দেওয়া হয়। এতে শৌচাগারের জায়গা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) জানিয়ে শৌচাগার নির্মাণ অবৈধ বলে উল্লেখ করা হয়। সিটি করপোরেশনের নোটিশে নদীতীরের এক কোটি টাকা মূল্যমানের আট শতক জায়গা দখল করা হয়েছে বলেও সমিতিকে জানানো হয়। পরে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের পরিচালক (সমন্বয়) ইকরামুল হক সিলেটের জেলা প্রশাসককে অবৈধ শৌচাগার ভাঙার জন্য চিঠি দেন। এরপরও এটি ভাঙা হচ্ছিল না।
গতকাল শৌচাগার ভাঙা শুরু হলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নুরুল হুদা বলেন, সুরমা নদী নগরের অংশ দখল ও দূষণে প্রায় বিপন্ন। এই শৌচাগার ভাঙার মধ্য দিয়ে নদী দখল করেও যে পার পাওয়া যায় না, এর একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন হলো। ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, ভাঙার আগে শৌচাগারনির্মাতা কাউকে পাওয়া যায়নি। সমিতির সদস্যদের তলব করেও ঘটনাস্থলে নিয়ে আসা যায়নি।
গতকাল শৌচাগারটি ভাঙার সময় কাজীরবাজার মৎস্য আড়তদার ব্যবসায়ী সমিতির কার্যালয়ে গেলে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমকে পাওয়া যায়নি। তাঁর মুঠোফোনে কল দিলেও তিনি ফোন ধরেননি। কাজীরবাজারে তাঁর মৎস্য আড়তে গেলে জাহাঙ্গীরের ভাই পরিচয় দেওয়া এক ব্যক্তি বলেন, ‘তিনি দুই মাস ধরে অসুস্থ, বাসায় বিশ্রামে আছেন।’
সম্পাদক ও প্রকাশক : মস্তাক আহমদ পলাশ
সহ-সম্পাদক : জুমা কবীর মীম
নির্বাহী সম্পাদক : নাজমুল কবীর পাভেল
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : উজ্জ্বল চৌধুরী।
মস্তাক আহমদ পলাশ কর্তৃক নিউ বর্ণমালা অফসেট প্রেস, রাজা ম্যানশন, জিন্দাবাজার, সিলেট থেকে মুদ্রিত ও অনামিকা এ/৩৪ পূর্ব শাহী ঈদগাহ, সিলেট থেকে প্রকাশিত।
ইমেইল : sylheterdinkalnews@gmail.com,
ফেইসবুক পেইজ : The Daily Sylheter Dinkal ০১৭২২১৮৮৫৫১, ০১৭৫৫৮৬৬২২২, ০১৭১২৫৪০৪২০, শ্রীহট্ট মিডিয়া লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান।
Design and developed by M-W-D