২রা জুলাই, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ | ১৮ই আষাঢ়, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১০:১৪ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৬, ২০১৬
হিলারিই প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন…দ্যাটস ইট লস এঞ্জেলেস এয়ারপোর্টে নেমে ঠিক এ কথাটিই শুনলাম। গত ২৩ অক্টোবর নিউইয়র্কে পৌঁছানোর পর এ পর্যন্ত ম্যাসাচুসেটস, কানেকটিকাট, ডিস্ট্রিক্ট অব কলাম্বিয়া (ডিসি), টেক্সাস ঘুরে হিউস্টন হয়ে শনিবার দুপুরে ক্যালিফোর্নিয়া পৌঁছেছি। এর মধ্যে শতাধিক মানুষের সঙ্গে কথা হয়েছে। এদের কেউ শ্বেতাঙ্গ, কেউ কৃষ্ণাঙ্গ কেউ অন্য বর্ণের। তবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাসী বাংলাদেশিই বেশি। অনেকেই হিলারির জয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। ট্রাম্প সমর্থকরা ট্রাম্পের জয়ের কথা বলেছেন। তবে সকলেই তাদের বক্তব্যে একটি প্রচ্ছন্ন অনিশ্চয়তা রেখে দিয়েছেন। সবশেষে বলেছেন, নাও হতে পারে। কিন্তু লস এঞ্জেলেসের বাংলাদেশি আমেরিকান রিয়াজুল ইসলাম দৃঢ়তার সঙ্গে বললেন, ‘হিলারি ইজ নেক্সট আমেরিকান প্রেসিডেন্ট, দ্যাটস ইট’।
শনিবার থেকে এই কথাটি বলার সুযোগ সত্যিই সৃষ্টি হয়েছে। সকাল থেকেই প্রায় সকল জরিপই দেখাচ্ছিলো হিলারি এগিয়ে। ই-মেইল জটিলতায় একটু সঙ্কটে পড়লেও তা কাটিয়ে উঠেছেন। এখন সকল হিসাবেই হিলারি এগিয়ে।
পেছনের কারণটা বুঝি আগাম ভোট। আর তাতে হিলারির এগিয়ে থাকা। সকল প্রত্যাশাকে ছাড়িয়ে এবার রেকর্ড সংখ্যক আগাম ভোট পড়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। বিশেষ করে প্রধান তিনটি ব্যাটলগ্রাউন্ডে বিপুল সংখ্যক ল্যাটিনো আগেভাগেই তাদের প্রেসিডেন্ট পছন্দ করে ফেলেছেন। ফলে ২০১৬ সালের নির্বাচনের হিসাব-নিকাশটাই পাল্টে গেছে। ৪ নভেম্বর আগাম ভোটের শেষ দিনে ফ্লোরিডা, জর্জিয়া ও উত্তর ক্যারোলিনায় যে ভোট পড়েছে তা ২০১২ সালের চেয়েই কেবল বেশি নয়, প্রত্যাশার চেয়েও অনেক বেশি।
ক্যাটালিস্ট নামের একটি প্রতিষ্ঠান এ বিষয়টিতে নজরদারি করছে। ভোটার নিবন্ধন, পার্টি নিবন্ধন, বয়স আর লিঙ্গভিত্তিক ভোটারদের হিসাব নিকাশ তাদের কাছে যেমন ছিলো তেমনি তাদের গভীর নজর তারা রেখেছ আগাম ভোটের দিকেও। আর বলা হচ্ছে ৫০টি রাজ্যের মধ্যে যে ৩৮টি রাজ্যের আগাম ভোট হয়েছে সেগুলোতে ৩ কোটিরও বেশি ভোটার ভোট দিয়েছেন। এর মধ্যে প্রধান তিনটি ব্যাটল গ্রাউন্ডে ল্যাটিনোদের ভোট দেওয়ার প্রবণতা ছিলো সবচেয়ে বেশি। আর ল্যাটিনোদের ভোট দেওয়া মানেই হচ্ছে সে ভোট ডেমোক্র্যাটের ঝোলায় ঢুকেছে। কারণ বরাবরই ল্যাটিনোরা ডেমোক্র্যাটদের পক্ষে।
২০১২ সালে এই ল্যাটিনোদের ৭১ শতাংশ ভোট পড়েছিলো ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী বারাক ওবামার ঝুলিতে। পক্ষান্তরে রিপাবলিকান প্রার্থী মিট রমনি পেয়েছিলেন মোটে ২৭ শতাংশ ল্যাটিনো ভোট।
আরও দুই দিন আগে, যখন হিলারি ক্লিনটন ই-মেইল ইস্যুতে কিছুটা নাজেহাল তখনও বলা হচ্ছিলো ২০১২ সালের নির্বাচনের আগে বারাক ওবামা যতটা ভালো অবস্থানে ছিলেন, তার চেয়েও ভালো অবস্থানে রয়েছন হিলারি ক্লিনটন।
আর শনিবার সকল শঙ্কা কাটিয়ে হিলারি এগিয়ে যান। এবিসি-ওয়াশিংটন পোস্ট জরিপ বলছে ৩ পয়েন্টে এগিয়ে রয়েছেন হিলারি ক্লিনটন।
ইলেক্টরাল ভোটের যে হিসাব দেখানো হচ্ছে, তাতেও বলা হচ্ছে হিলারির জন্য এরই মধ্যে ২৭৪টি ইলেক্টরাল কলেজ ভোট নিশ্চিত হয়েছে, আর ডনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষে নিশ্চিত ১৮০টি ইলেক্টরাল ভোট।
এনবিসি বলছে ১৮২টি ইলেক্টরাল কলেজ ভোট নিশ্চিত করেই পাচ্ছেন হিলারি ক্লিনটন, বাকি ৯২টি ভোট নিশ্চিত না হলেও তার পক্ষেই রয়েছে। এ নিয়ে মোট ২৭৪টি ইলেক্টরাল কলেজ পাচ্ছেন হিলারি ক্লিনটন। যা প্রয়োজনের চেয়েও ৪টি বেশি।
পক্ষান্তরে ৮১টি নিশ্চিত ভোট রয়েছে ডনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষে। আর তার দিকে ঝুঁকে রয়েছে আরও ১০৯টি ভোট। সব মিলিয়ে এই সংখ্যা দাঁড়ায় ১৮০টি। যা প্রয়োজনীয় ইলেক্টরাল কলেজ ভোটের চেয়ে ৯০টি কম।
হিসাব নিকাশের এই পর্যায়ে হিলারিভক্ত রেজিস্টার্ড ডেমোক্র্যাট রিয়াজুল ইসলাম বলতেই পারেন, ‘হিলারি ইজ দ্য নেক্সট আমেরিকান প্রেসিডেন্ট’।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মস্তাক আহমদ পলাশ
সহ-সম্পাদক : জুমা কবীর মীম
নির্বাহী সম্পাদক : নাজমুল কবীর পাভেল
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : উজ্জ্বল চৌধুরী।
মস্তাক আহমদ পলাশ কর্তৃক নিউ বর্ণমালা অফসেট প্রেস, রাজা ম্যানশন, জিন্দাবাজার, সিলেট থেকে মুদ্রিত ও অনামিকা এ/৩৪ পূর্ব শাহী ঈদগাহ, সিলেট থেকে প্রকাশিত।
ইমেইল : sylheterdinkalnews@gmail.com,
ফেইসবুক পেইজ : The Daily Sylheter Dinkal ০১৭২২১৮৮৫৫১, ০১৭৫৫৮৬৬২২২, ০১৭১২৫৪০৪২০, শ্রীহট্ট মিডিয়া লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান।
Design and developed by M-W-D